নয়াদিল্লি, 11 মে: বৈবাহিক ধর্ষণ কি ফৌজদারি অপরাধ ? নানা মহলে এই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই ৷ দিল্লি হাইকোর্টের রায়েও (Delhi HC on Criminalising Marital Rape) এই নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকল ৷ বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত থাকলেন বিচারপতিরাও ৷ দুজন বিচারপতি এ ব্যাপারে একে-অপরের উল্টো মত পোষণ করেন ৷ ফলে এ বার এই মামলার গন্তব্য সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)৷
বিচারপতি রাজীব শাকধের ও বিচারপতি হরি শঙ্কর এই রায়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেননি ৷ জানা গিয়েছে, বিচারপতি শাকধের বলেছিলেন যে স্বামী জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তাকে ধর্ষণ হিসেবেই গণ্য করা উচিত ৷ তবে তাঁর এই মতের সঙ্গে একমত নন বিচারপতি শঙ্কর ৷ তিনি জানিয়েছেন যে, বৈবাহিক ধর্ষণ আইনের এই ব্যতিক্রম সংবিধান লঙ্ঘন করে না বলেই তাঁর বিশ্বাস ৷
আরও পড়ুন: Minor Raped in Malda : মদের নেশায় মেয়েকে ধর্ষণ, নিজেই স্বীকার করল বাবা
ধর্ষণ আইনে স্বামীদের ব্যতিক্রম হিসেবে রাখার বিরোধিতা করে যে আবেদনগুলি আদালতে করা হয়েছে, সেই মামলায় ম্যারাথন শুনানির পর গত 21 ফেব্রুয়ারি রায় রিজার্ভ রেখেছিল আদালত ৷ বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের কী অবস্থান, তা 2 সপ্তাহের মধ্যে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ কেন্দ্র আরও বেশি সময় দাবি করলে তাতে রাজি হয়নি আদালত ৷
কেন্দ্র জানিয়েছে যে, এ ব্যাপারে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে ৷ এই মামলার প্রভাব সমাজ ও পারিবারিক ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে মনে করে কেন্দ্র ৷ ধর্ষণ আইনে যে ব্যতিক্রমের কথা রয়েছে সেখানে বলা আছে যে, কোনও সাবালিকার সঙ্গে তাঁর স্বামী জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলেও তা কখনওই অপরাধ নয় ৷