নয়াদিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: স্বাধীনতার 75 বছরে ইতিহাসকে সঙ্গী করে আজ শেষবারের মতো অধিবেশন বসল দেশের পুরনো সংসদ ভবনে ৷ এই 75 বছরের ইতিহাসকে শেষদিনে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর কথায় উঠে এল, বিশ্বের সবচেয়ে বড় লিখিত সংবিধান তৈরির সাক্ষী থেকেছে ভারতের এই পুরনো সংসদ ভবন ৷ এমনকি দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই সংসদ ভবন থেকে নেওয়া হয়েছে ৷ এই 75 বছরে সংসদের দুই কক্ষে 7 হাজার সাংসদ নিজেদের অবদান রেখেছেন ৷ এ দিন মোদি বলেন, ‘‘পুরনো সংসদে শেষ অধিবেশন হলেও, এটি দেশের বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে ৷ আর এই সংসদ ভবন বিশ্বের কাছে ভারতের পরিচিতি তৈরি করেছে ৷’’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উঠে আসে জি20 শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য ৷ জি20’ শীর্ষ সম্মেলনকে দেশবাসীর সাফল্য বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর কথায়, ‘‘এই জি20 সম্মেলন কোনও ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী ও সমষ্টির সাফল্য নয় ৷ এই শীর্ষ সম্মেলন প্রতিটি দেশবাসীর সাফল্য ৷ দেশের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের অবদান এই জি20 শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের পিছনে রয়েছে ৷ বিশ্বের কাছে দেশের সম্মান বৃদ্ধির জন্য সমানভাবে অবদান রেখেছেন দেশের সকল নাগরিক ৷’’
আরও পড়ুন: শুরু 5 দিনের বিশেষ সংসদীয় অধিবেশন, আজই ভাষণ মোদির
জি20 শীর্ষ সম্মেলনে একাধিক প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে ভারতের তরফে ৷ যা সর্বসম্মতিতে জি20’র সদস্য় দেশগুলি গ্রহণ করেছে এবং তাতে সম্মতি জানিয়েছে ৷ আগামী 30 নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের কাছে জি20’র সভাপতিত্ব রয়েছে ৷ তাই এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: বিদায় পুরনো সংসদ ভবন, 10 মহিলা সাংসদের আবেগী বার্তা
করোনা অতিমারির সময় যেভাবে পুরনো এই সংসদ ভবন তার দায়িত্বপালন করে গিয়েছে, তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ কঠিন সময়ে সংসদীয় কর্তব্য পালন করতে সকল সাংসদ উপস্থিত থেকেছেন ৷ তার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি ৷ প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে ভারতকে অনেকে সন্দেহের চোখে দেখেছে ৷ কিন্তু, সেই সকল সন্দেহকে দূরে সরিয়ে ভারতেকে বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে এই সংসদ ভবন ৷ আর এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পণ্ডিত নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধি, নরসিমা রাও এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী জি’র মন্ত্রিসভা ৷’’