ভুবনেশ্বর, 3 নভেম্বর: ওড়িশার মহিলা ব্ল্যাকমেইলার (Odisha lady blackmailer) তথা হানিট্র্যাপার অর্চনা নাগের (Lady blackmailer) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED begins probe)৷ এই মামলায় ইতিমধ্যেই অর্চনা ও তাঁর স্বামী জগবন্ধু চাঁদকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁরা ছাড়াও আরও দু'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ বুধবার একটি সূত্র জানিয়েছে যে, অর্চনার সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক রয়েছে, তাঁদের নোটিশ দেওয়া হবে । সব অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও যাচাই করা হবে ।
কমিশনারেটের পুলিশ সম্প্রতি অর্চনার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে ৷ হানিট্র্যাপের মাধ্যমে অর্চনা রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক-সহ রাজ্যের ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে । জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনি ফেসবুকে তাঁদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন (Honey-trapping case)৷ তিনি দাবি করতেন, তিনি নিজে একজন আইনজীবী ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ৷ এরপর বন্ধুত্ব বাড়িয়ে অর্চনা তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রলোভন দেখাতেন বলে অভিযোগ ৷ আর লুকনো ক্যামেরায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করে সেটা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হত বলে অভিযোগ ৷ সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করা হত মোটা অঙ্কের টাকা ৷
ব্ল্যাকমেইলার এবং তাঁর স্বামী 2018 থেকে 2022 সাল - এই চার বছরের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে প্রায় 30 কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন বলে অভিযোগ । অর্চনা গ্রেফতার হওয়ার পর এই ঘটনায় ইডির তদন্ত চেয়ে ওডিশা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারতীয় বিকাশ পরিষদ ৷ এ দিকে, অর্চনা আবার ভুবনেশ্বর আদালতে জামিনের আবেদন জানান ৷ বলাঙ্গিরের বাসিন্দা অর্চনা ভুবনেশ্বরে আইন নিয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন ৷ পরে তিনি একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থায় কিছুদিন কাজ করেন ৷ আর তারপর একটি বিউটি স্যালন খোলেন অর্চনা নাগ ৷
আরও পড়ুন: মধুচক্রের ফাঁদ, কলকাতায় গোয়েন্দা কর্তা পরিচয়ে তোলাবাজিতে ধৃত 4
উল্লেখ্য, ধামনগরে উপনির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান মঙ্গলবার বিজেপি প্রার্থী সূর্যবংশী সুরজের প্রচারের দ্বিতীয় পর্বে ধুসুরি গ্রামে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন যে, একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠতে চলেছে । তাঁর বক্তব্যে এই ঘটনারই ইঙ্গিত মিলছে ৷ তবে বিজেডির দাবি, উপনির্বাচনের আগে এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই ঠিক না, এটি গেরুয়া শিবিরের হতাশাকেই তুলে ধরেছে ৷