নয়াদিল্লি, 7 নভেম্বর: বায়ু দূষণ মোকাবিলায় দিল্লি সরকারের আনা জোড়-বিজোড় পরিকল্পনা নিছকই দেখানোর জন্য ছিল, এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি ৷ এমনই মত সুপ্রিম কোর্টের ৷
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এসকে কউল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জোড়-বিজোড় প্রকল্পের প্রেক্ষাপটে দিল্লি সরকারের আইনজীবীকে বলেন, "আপনি কি মূল্যায়ন করেছেন যে, এটি দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনতে আগের বছরগুলিতে আদৌ কতটা কার্যকরী হয়েছিল ? এই ধরনের স্কিম শুধুমাত্র দেখানোর জন্যই হয় ৷"
বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে মেট্রো রেল ব্যবস্থা না থাকলে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে বায়ু দূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হত । বিচারপতি কউল বলেন, "একটি সমস্যা হল চরম আবহাওয়া । মেট্রো না থাকলে কী হত ঈশ্বর জানেন...যদিও পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ এখনও একটি সমস্যা ৷"
কনট প্লেসের স্মগ টাওয়ার কাজ করছে না বলে জানতে পারার পর বেঞ্চ বলে যে, এটি কার্যকর করা উচিত । বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দিল্লি ও পঞ্জাবে একই দল শাসন করছে, খামারের আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা কী ? বেঞ্চ স্টেকহোল্ডার রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের অনলাইনে হলেও বুধবার বৈঠক করতে বলেছে ৷ এ ছাড়াও দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির (DPCC) প্রধানকে শুক্রবার শুনানির পরবর্তী তারিখে তলব করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: দিল্লির বিষবায়ু মোকাবিলায় 'কৃত্রিম বৃষ্টি' আনছে আইআইটি-কানপুর, বিষয়টা কী ?
বেঞ্চ দিল্লি সরকারকে জাতীয় রাজধানীতে অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা কমলা-ট্যাগযুক্ত যানবাহন (দূষণকারী ডিজেল গাড়ি) এবং ট্যাক্সিগুলির প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিল । সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে, সরকার একদিকে বাজরার প্রচার করছিল, অন্যদিকে ধান পঞ্জাবের ভূগর্ভস্থ জলকেও নষ্ট করতে দিচ্ছে ।
বিচারপতি কউল বলেন যে, তিনি সম্প্রতি পঞ্জাবে গিয়েছিলেন এবং অনেক জায়গায় ফার্মে আগুন দেখেছেন ৷ তাঁর মতে, প্রতি বছর দিল্লি এর মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেছে যে, স্থানীয় এসএইচওকে ফসল পোড়ানোর যে কোনও ঘটনার জন্য আরও দায়বদ্ধ করা উচিত । আদালত এ দিন জাতীয় রাজধানীতে বায়ু দূষণ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি করে এবং শুক্রবার বিষয়টি আরও শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে ৷