বিলাসপুর, 23 মার্চ : 13 বছর আগে এটিএমে ডাকাতির সময় নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে খুনের মামলায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বাতিল করল বিলাসপুর হাইকোর্ট (Criminal acquitted in Bilaspur High Court)। মামলায় প্রথমে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও 3 লক্ষ টাকা জরিমানা করে জাঞ্জগীরের শক্তি আদালত। পুলিশের তদন্তে ত্রুটি থাকায় ডাকাতি ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, 2008 সালের 29 ডিসেম্বর পুষ্পেন্দ্র নাথ চৌহান তার সহযোগীদের নিয়ে শক্তি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি এটিএমে ডাকাতি করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সীতারাম নামে এক নিরাপত্তারক্ষী। এটিএম থেকে তারা 14 লক্ষ টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এই মামলায় জাঞ্জগির-চাম্পা জেলার বড়দ্বার থানা এলাকার দারাভাটা গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পেন্দ্র নাথ চৌহান ওরফে মনীশ এবং তার সহযোগীদের পুলিশ 2008 সালে বিলাসপুর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করে।
পুষ্পেন্দ্রনাথ চৌহান তার সহযোগীদের সঙ্গে বিলাসপুর, কোরবা, জাঞ্জগির চম্পা এবং রায়গড়-সহ বহু জেলায় ব্যাঙ্ক ডাকাতি অভিযোগে অভিযুক্ত। তার গ্যাংয়ের সদস্য ছিল 6 জন। এর মধ্যে রয়েছে সোনিপালির বাসিন্দা পুষ্পেন্দ্রগিরি, সুমেধার বাসিন্দা দিনেশ ওরফে দীপক দিনু নেতাম, অযোধ্যাপুরির বাসিন্দা বাবলু ওরফে গুলাব সিং, দারির বাসিন্দা রাজু গন্ধর্ব, মুঙ্গেলির বাসিন্দা এবং বিলাসপুরের বাসিন্দা সুরজ গন্ধর্ব।
প্রসঙ্গত, জেলে থাকা অবস্থায় বাংলার রাজ্যপালের কাছে 50 কোটি টাকা মুক্তিপণের দাবি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মুক্তিপণ না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককেও হুমকি দিয়েছিল তিনি। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে 11 কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। এসব মামলায় পুষ্পেন্দ্রের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এছাড়া আরও অনেক মামলার আসামি তিনি। এসব মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন ।