নয়াদিল্লি, 21 অক্টোবর : দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা আটকে রাখা নিয়ে এ বার কৃষকদের সমালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট । আদালতের মতে, আন্দোলনের অধিকার আইনত স্বীকৃত । কিন্তু তাই বলে এ ভাবে দীর্ঘ দিন রাস্তা আটকে রাখা যায় না । এ নিয়ে আগামী 7 ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষকদের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত ।
দিল্লিতে ঢোকার মুখে সিংঘু, টিকরি-সহ বেশ কিছু সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা । তার জেরে সেখান দিয়ে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে । তাই অবিলম্বে রাস্তা খোলার আর্জি নিয়ে আদালতে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছিল ।
আরও পড়ুন: Dearness Allowance : কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য সুখবর, বাড়ল মহার্ঘ ভাতা
বৃহস্পতিবার ওই আবেদনগুলির শুনানি চলাকালীনই কৃষকদের রাস্তা আটকে রাখার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ । বিচারপতি কউল বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে ৷ মামলা আদালতে ঝুলে রয়েছে । তা সত্ত্বেও আন্দোলনের অধিকারের বিরোধী নই আমি । কিন্তু এ ভাবে রাস্তা আটকে রাখা যায় না ৷ এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকাও উচিত নয় ৷’’
এর আগে, বিচারপতি এএম খানউইলকর নেৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চও আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কৃষকরা ৷ তার পরও আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে, আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কত যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: Priyanka Gandhi Vadra : উত্তরপ্রদেশ হাতে এলে মেয়েদের স্মার্টফোন আর স্কুটি দেওয়া হবে : প্রিয়াঙ্কা
তবে এখনও পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে আসার কোনও ইঙ্গিত দেননি কৃষকরা ৷ বিতর্কিত তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা । নরেন্দ্র মোদি সরকার ওই আইন তিনটি প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ৷