পটনা (বিহার), 9 মার্চ: ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে যে বিহারের গয়া জেলার প্রশিক্ষণ রেঞ্জে কোনও মর্টার শেল ছোড়া হয়নি ৷ যদিও বুধবার অভিযোগ উঠেছিল যে সেনাবাহিনীর ছোড়ো মর্টারেই স্থানীয় একটি গ্রামের তিনজন বাসিন্দার মৃত্যু হয় ৷
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ আধিকারিকের তরফে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, গয়ার দেউরি ডুমরি ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে প্রশিক্ষণের সময় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের থেকে অনুমতি নেওয়া হয় ৷ কারণ, যাতে কোনও সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু না হয় ৷ কিন্তু 8 মার্চ যে সময় তিনজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়, সেই সময় সেনার তরফে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছ থেকে মর্টার ছোড়ার জন্য কোনোরকম অনুমতি চাওয়া হয়নি (Indian Army on Gaya Mortar Shell Incident) ৷
বিবৃতিতে বিস্ফোরণের প্রভাবে ঘটনাস্থলে তৈরি হওয়া একটি গর্তের ছবি ও সেই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ৷ লেখা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অংশ ওই ছবিতে থাকা একটি বৃত্তাকার গর্ত দেখাচ্ছে ৷ দাবি করছে যে মর্টারের জন্যই ওই গর্ত হয়েছে ৷ কিন্তু মর্টার ছোড়া হলে ওই ধরনের গর্ত হয় না ৷ ভারতীয় সেনার সন্দেহ, কোনও মর্টার শেল বিস্ফোরণ থেকে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ৷ সাধারণত মর্টার শেলের ভিতরে থাকা উপকরণ বের করার চেষ্টা করলে এই ধরনের বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে ৷
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেনার তরফে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যে বেআইনিভাবে ঢুকে পড়ে সেখান থেকে ফেলে দেওয়া সামগ্রী সংগ্রহ করা যে কতটা বিপজ্জনক, তা এই দুর্ঘটনা থেকেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ৷ সেনার তরফে এই ধরনের কাজ না করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে গয়ার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে ৷
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গয়ার গুলার বেদ গ্রামে৷ দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয় ৷ আহত হন অনেকে ৷ তাঁরা একই পরিবারের সদস্য ৷ স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে ৷
আরও পড়ুন: সেনাছাউনি থেকে কামানের গোলা পড়ল গ্রামে, মৃত্যু হল হোলিতে মত্ত তিন গ্রামবাসীর