নয়াদিল্লি, 21 এপ্রিল: উধাও ব্লু টিক ! উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান এবং বিরাট কোহলির মতো দেশের বহু সেলিব্রিটির টুইটার অ্যাকাউন্টে নেই নীল টিক চিহ্ন ৷ এমনকী এই তালিকায় রয়েছেন স্বয়ং বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন ৷ বৃহস্পতিবার থেকে টুইটার কর্তৃপক্ষ সব 'লিগ্যাসি ভেরিফায়েড ব্লু টিক' অ্যাকাউন্ট থেকে নীল চিহ্ন সরিয়ে দিয়েছে ৷
এই অ্যাকাউন্টগুলিতে আগে থেকে ব্লু টিক ছিল ৷ কিন্তু টুইটার কেনার পরপরই ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন ব্লু টিক পেতে গেলে টাকা দিতে হবে ৷ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ফোনে টুইটারের ওয়েব ভার্সনের জন্য মাসে 8 মার্কিন ডলার এবং অ্যাপের জন্য 11 মার্কিন ডলার খরচ হবে ৷ শুধুমাত্র তাঁদের টুইটার অ্যাকাউন্টেই ভেরিফায়েড ব্লু টিক রয়েছে, যাঁরা এই টুইটারকে এই টাকা দিয়েছেন ৷
আর এই নিয়ম বদলের পর বি-টাউনের বহু মহাতারকা থেকে তারকা- শাহরুখ খান, অমিতভা বচ্চন, আলিয়া ভাটের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক মুছে দিয়েছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ ৷ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মার অ্যাকাউন্টে ভক্তরা ব্লু টিক দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: টুইটারে ব্লু-টিক খোয়াল নিউইয়র্ক টাইমস
টুইটারের এই ব্লু টিক বিখ্যাত মানুষদের যাচাই করা অ্যাকাউন্টের পাশে দেখা যেত ৷ কেউ কোনও ভাবে যাতে ওই নামে অন্য অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করতে না-পারে, সেই জন্য এই বিশেষ প্রতীক চিহ্নের ব্যবহার ৷ কিন্তু ইলন মাস্ক টুইটার কিনে ঘোষণা করেন, টাকা দিলে যে কেউ এই ব্লু টিকের অধিকারী হতে পারবেন ৷ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টের পাশেই দেখা যাবে নীল টিক চিহ্ন ৷ এ নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয় ৷ কিন্তু তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন ৷
মার্চের প্রথম দিকে টুইটার কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব হ্যান্ডেলে লেখে, "1 এপ্রিল থেকে আমরা 'লিগেসি ভেরিফায়েড প্রোগ্রাম' (অর্থাৎ আগে থেকে যাচাই করা অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকা) সরিয়ে নিচ্ছি ৷ সেই চেকমার্ক অর্থাৎ ব্লুটিক মুছে ফেলা হবে ৷ টুইটারে ব্লু টিক চেকমার্ক রাখতে হলে যে কোনও ব্যক্তি টুইটার ব্লুতে সাইন আপ করতে পারেন ৷"
2009 সালে প্রথম টুইটার ব্লু চেক মার্ক পদ্ধতিটি কার্যকর করে ৷ এতে টুইটার ব্যবহারকারীরা সহজে তাঁদের প্রিয় সেলিব্রিটি, রাজনৈতিক নেতা, কোম্পানি, ব্র্যান্ড, সংবাদমাধ্যমকে চিনতে পারবে ৷ এতে প্রতারণার সম্ভাবনা অনেকটাই কম ৷ এর জন্য সে সময় টুইটারকে কোনও টাকা দিতে হত না ৷