হরিদ্বার, 12 এপ্রিল: কুম্ভমেলায় পূণ্যস্নানে হরিদ্বারে গঙ্গার তীরে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় ৷ কিন্তু ইতিমধ্যেই গোটা দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ৷ গত 24 ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে ৷ এই হরিদ্বারেই গত 24 ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 386 জন এবং গোটা শহরে এই মুহূর্তে মোট 2056 সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি নিষেধ মানা দূর কি বাত, এমন জমাট ভিড়ে লোকের মুখে মাস্কটুকু দেখা যাচ্ছে না ৷
কুম্ভের পূণ্যস্নান যাত্রা দেশের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম একটি ৷ সোমবার এই স্নান যাত্রায় এক লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম হয় ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিধিনিষেধ তাঁরা খুব বেশি আমল দিচ্ছেন না ৷ কারণ হিসাবে ভক্তদের যুক্তি, এই সময় হরিদ্বারে আসতে গেলে করোনার নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট জরুরি ৷ যাঁরাই এখানে এসেছেন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হয়েছে ৷ তাই করোনা নিয়ে নাকি এত ভাবার কারণ নেই ৷
গত এক সপ্তাহের মধ্যে হরিদ্বারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে 100 শতাংশ বেড়েছে ৷ 4 এপ্রিল 173 জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছিল 837টি ৷ এই অবস্থায় স্নান যাত্রার প্রতি ঘাটে কোভিড বিধির প্রচার করা হয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞরা ভক্তদের উদ্দেশ্য সেই বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছেন ৷ কিন্তু কে শোনে কার কথা ! উল্টে তাঁদের যুক্তি, এই ধরনের তীর্থযাত্রার মধ্যে এইসব সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলা বাস্তবে নাকি সম্ভবই নয় ৷
মেলায় কর্তব্যরত উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজিপি অশোক কুমার জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি গাইডলাইন জারি হওয়ার পরও এই বিশাল ভিড় সামলানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ করোনার পরবর্তী সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে তিনি মেলায় আগতদের করোনা বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ৷