নয়াদিল্লি, 15 জানুয়ারি: 2022-23 আর্থিক বছর পর্যন্ত গত 9 বছরে 24.82 কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে এসেছেন ৷ সোমবার প্রকাশিত হওয়া নীতি আয়োগের একটি রিপোর্টে এই বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেখানে আরও জানানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ বহুমাত্রিক এই দারিদ্রতা (মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি) থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন ৷
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, 2013-14 আর্থিক বছরে ভারতে এই দারিদ্রতার পরিমাণ ছিল 29.17 শতাংশ ৷ এখন তা নেমে এসেছে 11.18 শতাংশে ৷ এই নিয়ে নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চাঁদ জানান, সরকারের লক্ষ্যে এই পরিসংখ্যানকে 1 শতাংশে নামিয়ে আনা ৷ আর সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে৷ তিনি আরও জানান, ভারত 2030 সালের অনেক আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি 1.2তে পৌঁছাতে পারে ৷ এক্ষেত্রে বহুমাত্রিক দারিদ্রতা অর্ধেকে নেমে আসবে ৷
12টি টেকসই উন্নয়ন সূচকের নিরিখে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে এই বহুমাত্রিক দারিদ্রতাকে নির্ণয় করা হয় ৷ ওই 12টি মাপকাঠি হল, পুষ্টি, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু, মাতৃস্বাস্থ্য, স্কুলে পড়ার বছর, স্কুলে উপস্থিতি, রান্নার জ্বালানি, স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, আবাসন, সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট । নীতি আয়োগের জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক বা এমপিআই দারিদ্র্যের হার হ্রাসের মূল্যায়নের জন্য আলকিরে ফস্টার পদ্ধতি ব্যবহার করে । জাতীয় এমপিআই 12টি সূচক কভার করে ৷ আর বিশ্ব এমপিআই 10টি সূচক কভার করে ।
রাজ্যস্তরে উত্তরপ্রদেশে 5.94 কোটি মানুষ এই দারিদ্রসীমার বাইরে আসতে পেরেছে ৷ বিহারে 3.77 কোটি মানুষ এই দারিদ্রসীমার বাইরে আসতে সক্ষম হয়েছে ৷ আর মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যা হল 2.30 কোটি৷ এমপিআই-এর 12টি সূচকেও অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে ৷
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভারতের লক্ষ্য 2024 সালের মধ্যে দারিদ্রতাকে এক সংখ্যায় নামিয়ে আনা ৷ তাছাড়া ওই রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে, সাম্প্রতিক জাতীয় এমপিআই জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা 4 (2015-16) এবং 5 (2019-21) এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ।
সংবাদসংস্থা - পিটিআই
আরও পড়ুন: