সমস্তিপুর, 25 অগস্ট: নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে পালাল তিন যুবক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুর জেলায় ৷ হাসপাতালে তিন দিন ভর্তি থাকার পর জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানায় ৷ এরপরই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাবার সঙ্গে 16 অগস্ট রাত 1টায় কলকাতা থেকে ফেরার সময় সমস্তিপুর স্টেশনে নামে ৷ স্টেশন চত্বরে একটি বোলেরো গাড়ি দাঁড় করানো ছিল ৷ গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে রাজি হয়ে যান ৷ ড্রাইভারের সঙ্গে গাড়িতে আরও এক ব্যক্তি বসেছিলেন ৷ ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানিয়েছিলেন ওই ব্যক্তিও এক যাত্রী ৷ তিনিও একইদিকে যাবেন ৷ এরপর বাবা-মেয়ে দুজনেই গাড়িতে উঠে বসেন ৷ রাস্তায় মুক্তাপুরের কাছে ওই ব্যক্তি তাদের বাবা-মেয়েকে কোল্ড ড্রিকংস খাওয়ান ৷ সেটি খাওয়ার পরেই অজ্ঞান হয়ে যান দুজনেই ৷
এর আগে কী হয়েছিল তা ধৃতদের থেকে জানতে পারে পুলিশ ৷ তারা জেরায় জানায়, বাবা ও মেয়ে জ্ঞান হারানোর পরেই তাদের কাছ থেকে প্রথমে টাকা ও মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয় ৷ পুসা রোড আসতেই ওই এলাকায় মেয়েটির বাবাকে অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে দেয় তারা ৷ এরপর চালক-সহ তিনজন একাধিকবার চলন্ত গাড়িতেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ৷ মুজফফরপুরের সাকরা থানা এলাকায় অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ফেলে দিয়ে পালায় তারা ৷
এরপর সকাল হতেই স্থানীয়রা নাবালিকাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় ৷ সাকরা ও পুসা থানার পুলিশ বাবা ও মেয়ে দুজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । জ্ঞান ফিরলে তারা 23 অগস্ট মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ৷ তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ ক্যাপ্টেন বিনয় তিওয়ারি একটি দল গঠন করেন ৷ গ্রেফতার হয় বৈশালী বাসিন্দা মহম্মদ সালাউদ্দিন, মুজফফরপুরের মহম্মদ আলাউদ্দিন ও সাকরার যশবন্ত কুমার নামে তিন অভিযুক্ত ৷ বোলেরো গাড়িটিকেও আটক করা হয় ৷
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ ক্যাপ্টেন বিনয় তিওয়ারি বলেন,"তদন্তে নামার পরই বোলেরো-সহ তিন অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে ৷ এরা সমস্তিপুর, পটনা, সীতামাঢ়ি ও মুজফফরপুর স্টেশনে যাত্রীদের টার্গেট করত ৷ মাদক খাইয়ে ছিনতাই করত ৷ একইসঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা ৷ আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷"