ETV Bharat / bharat

Maoist Arms Training: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মাওবাদীরা ! দাবি এনআইএ'র

উত্তর-পূর্বের দুই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি' (Kangleipak Communist Party) বা কেসিপি (KCP) এবং 'পিপল'স লিবারেশন আর্মি' (People's Liberation Army)-এর কাছ থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মাওবাদীরা ৷ এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (National Investigation Agency) এনআইএ (NIA) ৷

NIA special report on Maoist Arms Training
Maoist Arms Training: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মাওবাদীরা ! দাবি এনআইএ-র
author img

By

Published : Jun 27, 2022, 7:02 PM IST

কলকাতা, 27 জুন: বছর কয়েক আগে বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) ৷ যার মধ্যে অন্যতম হল, 'কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি' (Kangleipak Communist Party) বা কেসিপি (KCP) এবং 'পিপল'স লিবারেশন আর্মি' (People's Liberation Army) ৷ সূত্রের দাবি, বর্তমানে এই দু'টি সংগঠনের কাছ থেকেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মাওবাদীরা ৷

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (National Investigation Agency) এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দু'টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাছ থেকে মূলত অত্যাধুনিক অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মাওবাদীরা ৷ তাদের নতুন টার্গেট, উত্তর-পূর্ব ভারত ৷ ভারতের এই অংশে আতঙ্ক ছড়াতে এবং নতুন করে সন্ত্রাসের জাল বিস্তার করতেই কেসিপি ও 'পিপল'স লিবারেশন আর্মি'-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মাওবাদীরা ৷ সম্প্রতি অসম থেকে গ্রেফতার হওয়া এক শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা ৷

আরও পড়ুন: Maoist in Indo-Bangla Border: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাওবাদী সংগঠন, দায়িত্বে শীর্ষনেতা সব্যসাচী গোস্বামী

এনআইএ-র দাবি, ইতিমধ্যেই মাওবাদীরা (Maoist) নিজেদের রণকৌশলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ৷ আগে জঙ্গল মহল বললেই মাথায় আসত মাওবাদীদের কথা ৷ কিন্তু, বর্তমানে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স এবং যৌথবাহিনীর তল্লাশি অভিযানের জেরে এই এলাকায় মাওবাদীদের ভিত টলে গিয়েছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে নিজেদের জন্য 'সেফ করিডর' তৈরি করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করছে তারা ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজ্যের গোয়েন্দা দফতরের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে এনআইএ ৷

আগে জঙ্গল মহলের বাসিন্দাদের দুঃখ, দুর্দশাকে হাতিয়ার করত মাওবাদীরা ৷ সরকারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ক্ষেপিয়ে তোলা হত ৷ কিন্তু, এখন ছবিটা বদলে গিয়েছে ৷ মাও শীর্ষ নেতাদের অনেকেই হয় গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন, আর তা না-হলে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে এসেছেন ৷ ফলে জঙ্গল মহলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে উঠেছে মাওবাদীদের পক্ষে ৷ এই অবস্থায় উত্তর-পূর্ব ভারতে মজবুত ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে তারা ৷ যাতে আগামিদিনে এই এলাকাকে ভিত্তি করেই সন্ত্রাস ও আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম করা যায় ৷

কলকাতা, 27 জুন: বছর কয়েক আগে বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) ৷ যার মধ্যে অন্যতম হল, 'কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি' (Kangleipak Communist Party) বা কেসিপি (KCP) এবং 'পিপল'স লিবারেশন আর্মি' (People's Liberation Army) ৷ সূত্রের দাবি, বর্তমানে এই দু'টি সংগঠনের কাছ থেকেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মাওবাদীরা ৷

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (National Investigation Agency) এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দু'টি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাছ থেকে মূলত অত্যাধুনিক অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে মাওবাদীরা ৷ তাদের নতুন টার্গেট, উত্তর-পূর্ব ভারত ৷ ভারতের এই অংশে আতঙ্ক ছড়াতে এবং নতুন করে সন্ত্রাসের জাল বিস্তার করতেই কেসিপি ও 'পিপল'স লিবারেশন আর্মি'-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মাওবাদীরা ৷ সম্প্রতি অসম থেকে গ্রেফতার হওয়া এক শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা ৷

আরও পড়ুন: Maoist in Indo-Bangla Border: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাওবাদী সংগঠন, দায়িত্বে শীর্ষনেতা সব্যসাচী গোস্বামী

এনআইএ-র দাবি, ইতিমধ্যেই মাওবাদীরা (Maoist) নিজেদের রণকৌশলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ৷ আগে জঙ্গল মহল বললেই মাথায় আসত মাওবাদীদের কথা ৷ কিন্তু, বর্তমানে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স এবং যৌথবাহিনীর তল্লাশি অভিযানের জেরে এই এলাকায় মাওবাদীদের ভিত টলে গিয়েছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে নিজেদের জন্য 'সেফ করিডর' তৈরি করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করছে তারা ৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজ্যের গোয়েন্দা দফতরের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছে এনআইএ ৷

আগে জঙ্গল মহলের বাসিন্দাদের দুঃখ, দুর্দশাকে হাতিয়ার করত মাওবাদীরা ৷ সরকারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ক্ষেপিয়ে তোলা হত ৷ কিন্তু, এখন ছবিটা বদলে গিয়েছে ৷ মাও শীর্ষ নেতাদের অনেকেই হয় গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন, আর তা না-হলে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে এসেছেন ৷ ফলে জঙ্গল মহলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে উঠেছে মাওবাদীদের পক্ষে ৷ এই অবস্থায় উত্তর-পূর্ব ভারতে মজবুত ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে তারা ৷ যাতে আগামিদিনে এই এলাকাকে ভিত্তি করেই সন্ত্রাস ও আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম করা যায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.