জয়পুর(রাজস্থান), 24 সেপ্টেম্বর: নৃশংস ঘটনার সাক্ষী ছিল রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur Tailor Murder Case) ৷ এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশাল মিডিয়ায় ৷ পেশায় দর্জি কানহাইয়ালাল সাহু হত্যা মামলার তদন্ত করছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (National Investigation Agency) ৷
শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বিশেষ আদালতকে অনুরোধ করেছে এই হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিলের জন্য তাদের আরও সময় দেওয়া হোক ৷ 90 দিন সময় চেয়েছে এনআইএ । তদন্তকারী সংস্থা বিশেষ আদালতকে জানিয়েছে, তারা এই মামলায় আরও অভিযুক্তকে খুঁজছে । তাই চার্জশিট দাখিল করতে সময় লাগবে (NIA seeks more time to file charge sheet) ।
এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিযুক্তদের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয় । হত্যা মামলার শুনানির সময় আদালত অভিযুক্তের বিচার বিভাগীয় হেফাজত 21 অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে । মামলার শুনানির সময় একজনও আইনজীবী অভিযুক্তের তরফে ওকালতনামা (Vakalatnama) দাখিল করতে এগিয়ে আসেননি ৷ ওকালতনামা হল একটি নথি, যা একজন আইনজীবীকে তার মক্কেলের পক্ষে মামলা লড়ার ক্ষমতা দেয় ।
উল্লেখ্য, 28 জুন দুপুরে উদয়পুর শহরের ধানমান্ডি এলাকায় দোকানে ঢোকে কুপিয়ে খুন করা হয় দর্জি কানাইলাল সাহুকে (Kanhaiyalal Sahu) ৷ গোটা ঘটনা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া লাল সাহু ৷ ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছে, নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করায় কানহাইয়া লালকে খুন করা হয়েছে বলে ৷
আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, আততায়ীদের নিশানায় ছিলেন আরও এক ব্যবসায়ী
ঘাউস মহম্মদ এবং রিয়াজ গব্বর নামের দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই এনআইএ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে (Udaipur Murder Case) ৷ তারপরেই সামনে এসেছে দুই আততায়ীর পাক যোগের (পড়ুন জঙ্গি যোগ) খবর ৷ বাকি সাত অভিযুক্তকে পরে গ্রেফতার করা হয় । জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এই মামলায় বাকি সাত অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ, ফরহাদ শেখ, আসিফ, মহম্মদ মহসিন, ওয়াসিম আলি, জাভেদ এবং মহসিন খানকে গ্রেফতার করে । এনআইএ 29 জুন মামলাটি হাতে নেয় ৷