শ্রীনগর, 5 ডিসেম্বর: সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার তল্লাশি শুরু করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ ৷ সূত্র মারফত এই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ ওই সূত্র থেকে আরও জানানো হয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীও তল্লাশি অভিযানে রয়েছে ৷
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে যে কাশ্মীর উপত্যকার অন্তত সাতটি লোকেশনে তল্লাশি চলছে ৷ আর জম্মুর একটি জায়গায় তল্লাশি চলছে ৷ কাশ্মীরের সোপিয়ান, বারামুলা ও অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে ৷ সপ্তাহ দুয়েক আগে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ ৷ তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে আসা অস্ত্র এখানকার সন্ত্রাসবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ৷ জাকির হুসেন নামে ওই ব্যক্তির গ্রেফতারির সঙ্গে এই তল্লাশির অভিযানের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি ৷
তবে যে মামলায় হুসেনকে গ্রেফতার করে এনআইএ, সেটি দায়ের হয়েছিল 2022 সালের 30 জুলাই ৷ ওই মামলায় ন’জন অভিযুক্ত ৷ সাতজনকে আগেই গ্রেফতার করে এনআইএ ৷ হুসেন-সহ একজনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিটও পেশ হয়ে যায় আদালতে ৷ তার পর গত 21 নভেম্বর এনআইএ গ্রেফতার করে ৷
তদন্তে এনআইএ জানতে পেরেছে যে পাকিস্তানি হ্যান্ডলার সাজ্জাদ গুলের নির্দেশে জাকির হুসেনরা কাজ করত ৷ তাদের কাজ ছিল পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে আসা অস্ত্র সংগ্রহ করা ৷ তার পর জম্মু-কাশ্মীরে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন জঙ্গির কাছে পৌঁছে দেওয়া ৷
কাঠুয়া জেলার রাজবাগ থানার পুলিশ এক ড্রোন উদ্ধার করার পর এই মামলার তদন্ত শুরু ৷ তার পর একে একে আটজনকে গ্রেফতার ৷ তার পর এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান ৷ মনে করা হচ্ছে, তদন্তকারীরা জম্মু ও কাশ্মীরে আরও বড় কোনও সন্ত্রাসবাদী পরিকল্পনার আঁচ পেয়েছেন ৷ সেই কারণেই একই সঙ্গে আটটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: