বেঙ্গালুরু, 14 মে: কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন ? সিদ্ধান্ত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কোর্টে ঠেলে দিল পরিষদীয় দল ৷ রবিবার শহরের এক হোটেলে বৈঠকে বসে কংগ্রেস পরিষদীয় দল ৷ কিন্তু সেই বৈঠকে চূড়ান্ত হল না পরিষদীয় দলের নেতা কে হবেন ৷ শেষ পর্যন্ত দলের সর্বভারতীয় সভাপতির উপরেই দায়িত্ব ছেড়ে দিল পরিষদীয় দল ৷
এদিন বিকালে বৈঠকে বসে কর্ণাটক কংগ্রেসের পরিষদীয় দল ৷ হাজির ছিলেন সদ্য নির্বাচিত বিধায়করা ৷ কিন্তু বৈঠকের আগে সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব দেখা যায় দলের অন্দরেই ৷ দলের প্রদেশ সভাপতিকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন রাজ্য কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা ৷ এমনকী যে হোটেলে এদিন বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব, তার বাইরেও কর্মী-সমর্থকরা শিবকুমারের নামে স্লোগান দিতে থাকেন ৷ মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে শিবকুমারকে দেখতে চেয়ে পোস্টার নিয়েও হাজির হয়েছিল কংগ্রেস কর্মীরা ৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, শিবকুমারের গাড়ি যখন এদিন হোটেলের গেটে আসে সেখানে প্রবল উচ্ছ্বাসে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেও স্লোগান দিতে থাকে কংগ্রেস কর্মীরা ৷ সমর্থকদের প্রবল উৎসাহে বেশ কিছুক্ষণ হোটেলের গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায় শিবকুমারের গাড়িকে ৷ যদিও এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে কে, সেই জল্পনায় জল ঢালতে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে মধুর তা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ৷ তবে তাতে যে চিঁড়ে ভেজেনি, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বিকেল হতেই ৷
অন্যদিকে, এদিন বৈঠকের আগে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সে প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্ক খাড়গে বলেন, "এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্তের বিষয় হতে চলেছে ৷ কারণ মানুষের চাহিদার পাত্র ভিন্ন ৷ তবে এই ভিন্ন মত থাকাটাও একদিকে ভালো ৷" কিন্তু কংগ্রেস নেতারা মুখে যাই বলুন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে গিয়ে যে সমস্যায় পড়েছেন তা পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ পাশাপাশি যেভাবে শিবকুমারের সমর্থনে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা পথে নেমেছে, তাতে রাজনৈতিক দলের ব্যাখ্যা, পরিষদীয় দলের কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত কঠিন হত ৷ সেকারণেই সুকৌশলে তা হাইকমান্ডের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ রাতে এআইসিসির তরফে পরিষদীয় দলের বৈঠকের রেজিলিউশন পেশ করে জানানো হয়, যে পাঁচ প্রতিশ্রুতির কথা বলে দল ক্ষমতায় এসেছে, তা পূরণ করাই মূল লক্ষ্য হবে তাদের ৷ তবে বিধানসভায় দলের নেতা কে হবেন তার সিদ্ধান্ত নেবে শেষ পর্যন্ত এআইসিসি সভাপতি ৷
