ETV Bharat / bharat

Sugata Bose on Manipur Violence: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে 'ন্যায্য ক্ষমতা ভাগাভাগি'র প্রস্তাব সুগত বসুর

Prof Sugata Bose Suggests Power-sharing Arrangement to Solve Manipur Issue: মণিপুরকে শান্ত করতে এবার উপায় বাতলে দিলেন অধ্যাপক তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসগ সুগত বসু ৷ তাঁর মতে, বিবাদমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষমতার সমান ভাগাভাগি করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 1, 2023, 2:02 PM IST

কলকাতা, 1 অক্টোবর: মণিপুরের পরিস্থিতিকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি তথা অধ্যাপক সুগত বসু ৷ সেই সঙ্গে মণিপুরকে শান্ত করার উপায়ের কথাও জানালেন তিনি ৷ তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের মতে, উত্তর-পূর্ব রাজ্যে ন্যায্য ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা করতে হবে ৷ এর জন্য মেইতেই, কুকি এবং নাগাদের একছাতার তলা আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুগত বসু জানিয়েছে, বিবাদমান দুই সম্প্রদায় 1944 সালে নেতাজির তৈরি ভারতের জাতীয় বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীনতার লড়াইয়ে ৷ এই দুই সম্প্রদায় ভারতে অগ্রসর হওয়ার জন্য বিষ্ণুপুর ও উখরুল জেলার যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল ৷ তাই তাঁর বিশ্বাস বিবাদমান সম্প্রদায়গুলিকে একছাতার নিচে নিয়ে এসে ন্যায্য ক্ষমতা ভাগ করে দিলেই মণিপুরের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ৷

আর এ ক্ষেত্রে নেতাজির স্বাধীনতার লড়াইয়ে এই তিন সম্প্রদায়ের আত্মবলিদানের কাহিনী, ফের একবার তাঁদের এক করতে পারে ৷ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইে নেতাজির ডাকে সাড়া দিয়ে মেইতেই ও কুকিরা এক হয়েছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে ৷ জাতীয়তাবাদের সেই আবেগকে এক্ষেত্রে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি অধ্যাপক সুগত বসু ৷

মণিপুরে মেইতেই জনজাতির সংখ্যা প্রায় 53 শতাংশ ৷ যাদের অধিকাংশের বসবাস ইম্ফলের উপত্যকায় ৷ আর সেখানে নাগা এবং কুকি গোষ্ঠীর জনসংখ্যার হার প্রায় 40 শতাংশ ৷ যারা ইম্ফলের পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করেন ৷ এ নিয়ে সুগত বসু বলেন, ‘‘স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক লাভের জন্য মণিপুরের পরিস্থিতিকে জিইয়ে রাখা সত্যিই দুঃখজনক ৷ একটি সম্প্রদায় অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে ৷ এই ধরনের রাজনৈতিক খেলা বন্ধ হওয়া দরকার ৷’’

আরও পড়ুন: 'প্রধানমন্ত্রী, আমার রাজ্য মণিপুরের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছেন', অভিযোগ লিসিপ্রিয়ার

গত পাঁচ মাস ধরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে ৷ গণহত্যা, বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ, মহিলাদের গণধর্ষণ, এমন একাধিক ঘটনার অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ সরকারি হিসেব অনুযায়ী, 175 জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৷ বিপুল সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ আর সম্প্রতি মণিপুরের পরিস্থিতি ফের একবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ৷ যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবকল্যাণে জড়িত সমাজের সকল স্তরের ব্যক্তিত্বরা ৷

(খবর সূত্র- সংবাদসংস্থা পিটিআই)

কলকাতা, 1 অক্টোবর: মণিপুরের পরিস্থিতিকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি তথা অধ্যাপক সুগত বসু ৷ সেই সঙ্গে মণিপুরকে শান্ত করার উপায়ের কথাও জানালেন তিনি ৷ তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের মতে, উত্তর-পূর্ব রাজ্যে ন্যায্য ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা করতে হবে ৷ এর জন্য মেইতেই, কুকি এবং নাগাদের একছাতার তলা আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুগত বসু জানিয়েছে, বিবাদমান দুই সম্প্রদায় 1944 সালে নেতাজির তৈরি ভারতের জাতীয় বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীনতার লড়াইয়ে ৷ এই দুই সম্প্রদায় ভারতে অগ্রসর হওয়ার জন্য বিষ্ণুপুর ও উখরুল জেলার যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল ৷ তাই তাঁর বিশ্বাস বিবাদমান সম্প্রদায়গুলিকে একছাতার নিচে নিয়ে এসে ন্যায্য ক্ষমতা ভাগ করে দিলেই মণিপুরের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ৷

আর এ ক্ষেত্রে নেতাজির স্বাধীনতার লড়াইয়ে এই তিন সম্প্রদায়ের আত্মবলিদানের কাহিনী, ফের একবার তাঁদের এক করতে পারে ৷ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইে নেতাজির ডাকে সাড়া দিয়ে মেইতেই ও কুকিরা এক হয়েছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে ৷ জাতীয়তাবাদের সেই আবেগকে এক্ষেত্রে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি অধ্যাপক সুগত বসু ৷

মণিপুরে মেইতেই জনজাতির সংখ্যা প্রায় 53 শতাংশ ৷ যাদের অধিকাংশের বসবাস ইম্ফলের উপত্যকায় ৷ আর সেখানে নাগা এবং কুকি গোষ্ঠীর জনসংখ্যার হার প্রায় 40 শতাংশ ৷ যারা ইম্ফলের পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করেন ৷ এ নিয়ে সুগত বসু বলেন, ‘‘স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক লাভের জন্য মণিপুরের পরিস্থিতিকে জিইয়ে রাখা সত্যিই দুঃখজনক ৷ একটি সম্প্রদায় অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে ৷ এই ধরনের রাজনৈতিক খেলা বন্ধ হওয়া দরকার ৷’’

আরও পড়ুন: 'প্রধানমন্ত্রী, আমার রাজ্য মণিপুরের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছেন', অভিযোগ লিসিপ্রিয়ার

গত পাঁচ মাস ধরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে ৷ গণহত্যা, বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ, মহিলাদের গণধর্ষণ, এমন একাধিক ঘটনার অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ সরকারি হিসেব অনুযায়ী, 175 জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৷ বিপুল সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৷ আর সম্প্রতি মণিপুরের পরিস্থিতি ফের একবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ৷ যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানবকল্যাণে জড়িত সমাজের সকল স্তরের ব্যক্তিত্বরা ৷

(খবর সূত্র- সংবাদসংস্থা পিটিআই)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.