কোটা, 30 নভেম্বর: কোটায় ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্তে চঞ্চল্যকর তথ্য ৷ কোচিং সেন্টারকে নোটিশ জেলাশাসক মহাবীর মীনার ৷ কোচিং ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে প্রশাসনের জারি করা নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে । বুধবার পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়া ফরিদ হোসেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কোটার একটি বাড়ি থেকে ৷ সেই বাড়িতেই ভাড়া থাকত সে ৷ এরপরই ওই ছাত্রের মত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বাবা কামালউদ্দিন ৷ দেহও ময়ানাতদন্তের দাবি জানান ৷ সেই রিপোটে জানা গিয়েছে ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন ৷ ময়না তদন্তর পর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে দাদাবাড়ি থানার পুলিশ ৷
'আমার পড়তে ভালো লাগছে না': বাড়িওয়ালা গফুর খান জানান, ফরিদ হোসেন এপ্রিল মাস থেকে তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন । তবে মাস তিনেক আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পড়ুয়া ৷ ক্রশই স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, ওই পড়ুয়ার কিডনিতে পাথর হয়েছে ৷ চিকিৎসার প্রয়োজন ৷ বাড়িওয়ালা আরও বলেন, "ফরিদ তার বন্ধুদের বলতেন যে তাঁর পড়াশোনা করতে ভালো লাগছে না । সে পড়ালেখা বুঝতে পারছে না ।"
কোচিং ইনস্টিটিউটে জারি করা নোটিশ: ফরিদ গত এক বছর ধরে কোটায় বসবাস করছিলেন । সে মোশন কোচিং ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করতেন । জেলাশাসক মহাবীর প্রসাদ মীনা সংশ্লিষ্ট কোচিং ইনস্টিটিউটকে নোটিশ দিয়েছেন । জেলা প্রশাসনের জারি করা নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে কোচিংয়ের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্র গত 15 দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, কিন্তু এই তথ্য জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়নি কোচিংয়ের তরফ থেকে । আগামী 3দিনের মধ্যে সমস্ত তথ্য দিতে হবে ৷
মৃত ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য় : ওই ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফরিদ হোসেন 27 নভেম্বর আত্মহত্যা করেছিলেন। বুধবার পুলিশ দেহের ময়নাতদন্ত করে । আত্মহত্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই পড়ুয়ার বাবা কামালউদ্দিন । যদিও তিনি এর থেকে বেশি কিছু জানাননি ৷ তবে মৃত ছাত্রের বাবা কামালউদ্দিন বলেন, " অনেক কষ্ট করে টাকা পয়সা জোগাড় করে পড়তে পাঠিয়েছিলাম ৷ ও নিটে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৷ 27 নভেম্বর দুর্ঘটনার আগেও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল ৷ কী কারণে আত্মহত্যা করল কিছুই বুঝতে পারছি না ৷"
আরও পড়ুন: