বস্তার, 20 ডিসেম্বর: সদ্য পালাবদল হয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করেছে বিজেপি ৷ কিন্তু ছত্তিশগড়ে মাওবাদী কার্যকলাপ চলছেই ৷ এরমধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি সক্রিয় বস্তার জেলায় ৷ বুধবার চরম মাওবাদী নাশকতার সাক্ষী থাকল বস্তার জেলার সুকমা ৷ জ্বলল গাড়ি, অগ্নিসংযোগ করা হল যাত্রীবাহী বাসে ৷ এরপর 30 নং জাতীয় সড়কে লিফলেট রেখে অবরোধ করল মাওবাদীরা ৷
সুকমায় নাশকতা: বুধবার সন্ধে 7টা 30 মিনিট নাগাদ 30 নং জাতীয় সড়ে নাশকতা চালায় নকশালরা ৷ প্রথমে দু'টি ট্রেলারে অগ্নিসংযোগ করা হয় ৷ এরপর জগরগুন্ডা পুলিশ স্টেশন এলাকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একটি পিক-আপ ভ্যানে ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ এরপর মাওবাদীদের রোষের মুখে পড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস ৷ যদিও হিংসার ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি ৷ তবে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের পর বিজাপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধও করে মাওবাদীরা ৷
জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ: নাশকতার এই ঘটনায় বুধবার সন্ধেয় সুকমার কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক ৷ নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয় ঘটনাস্থলে ৷ সেনার তৎপরতায় অবরুদ্ধ জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় ৷ সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান ৷ দু'বছর আগেও একই জায়গায় নকশালরা সাতটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল ৷
পুলিশ-মাওবাদী গুলির লড়াই: হিংসার ঘটনার আগে এদিন সুকমার কোত্তাপাল্লি এবং নাগারামের জঙ্গলে শুরু হয় পুলিশ-মাওবাদী গুলির লড়াই ৷ সেই গুলির লড়াইয়ে 5 মাওবাদী নিকেশ হয় বলে দাবি করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে ৷ প্রত্যুত্তরে মাওবাদীরা এই হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷
22 ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক মাওবাদীদের: আগামী 22 ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা ৷ বনধ সফল করতে বস্তারে নিয়মিত পড়ছে ব্যানার-পোস্টার ৷ এরপর বুধবার সুকমার ঘটনায় বনধের আগে উদ্বেগ বাড়ল বৈকি ৷
আরও পড়ুন: