নয়াদিল্লি, 13 অক্টোবর: আগামী 20 বছরে 100 কিলোমাটির পর্যন্ত ব্যাসার্ধ কমে যেতে পারে রাজধানী সংলগ্ন এলাকার (এনসিআর রিজিয়ন) । দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকার জন্য 2041 সালের মধ্যে নগরোন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ এনসিআর প্ল্যানিং বোর্ড । তাতেই রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে থাকা 150 থেকে 175 কিলোমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা এবং গ্রামঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা বাদ পড়তে পারে । অর্থাৎ বাদ পড়া অংশ আর রাজধানী সংলগ্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হবে না ।
রাজধানী সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে । খুব শীঘ্র তা জনসমক্ষে আনা হবে । সেই মতো কাজ শুরু করবে এনসিআর প্ল্যানিং বোর্ড । বোর্ডের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বর্তমানে যত দূর এলাকা রাজধানী সংলগ্ন এলাকা বলে চিহ্নিত, তার 100 কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় রৈখিক করিডর গড়ে তোলা হবে। তার মধ্যে জাতীয় সড়ক গড়ে উঠবে । বসানো হবে আঞ্চলিক ট্রানজিট প্রযুক্তিও । ওই 100 কিলোমিটারের মধ্যে থাকা তেহসিলগুলিকে রাজধানী সংলগ্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে, না কি বাইরে রাখা হবে, সেই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট রাজ্যের উপরই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে ।
বর্তমানে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা 2021-এর যে রেখচিত্র রয়েছে, তাতে ফরিদাবাদ-বল্লভগড়, গুরুগ্রাম-মানেসর, গাজিয়াবাদ-লোনি, নয়ডা, সোনেপত-কুন্ডলী, গ্রেটার নয়ডা এবং মেরঠ-ই সাতটি মেট্রো সেন্টারের উল্লেখ রয়েছে । এ ছাড়াও, বাহাদুরগড়, পানিপত, রোহতক পালওয়াল, রেওয়ারি-ধরুহেরা-বাওয়াল, হাপুর-পিলখুয়া, বুলন্দশহর-খুরজা, বাঘপত-বারাউত, আলওয়ার, গ্রেটার ভিওয়াড়ি, শাহজাহানপুর-নিমরানা-বেহরোর—এই 11টি আঞ্চলিক সেন্টারের উল্লেখ রয়েছে । 2041-এর খসড়া পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হলে 100 কিলোমিটারের পরবর্তী অংশ রাজধানী সংলগ্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত হবে না ।
আরও পড়ুন: Uttarakhand Power Crisis : দৈনিক ঘাটতি মেটাতে মোটা টাকায় বিদ্যুৎ কিনছে ইউপিসিএল
এনসিআর-এর ওই সূত্র জানিয়েছে, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা এবং মেরঠের কিছু অংশ 100 কিলোমিটারের মধ্যে থাকায়, তা রাজধানী সংলগ্ন এলাকার মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা যায় । এর মধ্যে 50-60 কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় ইতিমধ্যেই উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে । খসড়ায় অনুমোদন পেলেই বাকি অংশে কাজ শুরু হবে । ভবিষ্যতের জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, হেলিট্যাক্সি, উচ্চ গতিসম্পন্ন ট্রেন, উন্নত সড়কপথ, জল পরিষেবা-সহ বস্তি এলাকামুক্ত রাজধানী গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
শুধু তাই নয়, সুপার ফাস্ট ট্রেন চালিয়ে রাজধানী সংলগ্ন সমস্ত শহরকে মাত্র আধ ঘণ্টায় সংযুক্ত করার প্রস্তাবও রয়েছে এই খসড়ায় ।