শেওপুর (মধ্য়প্রদেশ), 23 এপ্রিল: সাশার মৃত্যুর রেশ কাটতে না-কাটতে একমাসের মধ্যে আরও এক চিতার মৃত্যু হল কুনো জাতীয় উদ্যানে। বর্তমানে কুনো জাতীয় উদ্যানে মোট চিতার সংখ্যা কমে হল 18 ৷ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা মৃত চিতার নাম রাখা হয়েছিল উদয় ৷ কয়েকদিন ধরেই সে অসুস্থ ছিল ৷ তার চিকিৎসা চলছিল ৷ কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হল না উদয়কে ৷ তার মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে বন বিভাগ। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল থেকেই উদয় নামের পুরুষ চিতাটি হাঁটাচলা করছিল না ৷ ঘাড় নিচু করে এক জায়গায় বসেছিল ৷
এদিন উদয়কে দেখতে বন্যপ্রাণী চিকিৎসকের একটি দল পৌঁছয় কুনো জাতীয় উদ্য়ানে ৷ এরপর ক্লোজড মেডিক্যাল অফিসাররা চিতাটির শারীরিক পরীক্ষা করে পরবর্তী চিকিৎসা ও সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখেন। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন বিকেল চারটে নাগাদ উদয় আকস্মিকভাবে মারা যায় ৷ পিসিসিএফ ওয়াইল্ডলাইফ জেএস চৌহান জানিয়েছেন, কুনো অভয়ারণ্যে সমস্ত চিতার উপর বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে।
তাঁর কথায়, প্রোটোকলে রেখে তাদের স্বাস্থ্য ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন লাইভ ভিডিয়োও করা হচ্ছে। তখনই উদয়ের এই গতিবিধি নজরে আসে ৷ মৃত্যুর কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি ৷ ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কী কারণে আফ্রিকান চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মোট 12টি চিতাকে এনে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিল সাতটি পুরুষ, পাঁচটি মহিলা চিতা। উদয় তাদেরই একজন ছিল।
আরও পড়ুন: কুনোর জঙ্গল থেকে ফের পালাল আফ্রিকান চিতা, ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্রামে
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে কুনোয় আসা সাশা নামের এক মহিলা চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে গত মাসেই। নামিবিয়া থেকে আসার ছ'মাসের মধ্যেই মারা গিয়েছিল চিতাটি। কুনো উদ্যানে আসার আগে থেকেই সাশা কিডনির অসুখে আক্রান্ত ছিল বলে পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল। আর তার একমাসের মাথায় ফের আরও এক চিতার মৃত্যু নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়াল ৷