ডিমাপুর (নাগাল্যান্ড), 24 ফেব্রুয়ারি: নাগাল্যান্ডের (Nagaland) কথা কখনও ভাবেননি দিল্লির কংগ্রেস (Congress) নেতারা ৷ শুক্রবার এই অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ৷ এদিন তিনি নাগাল্যান্ডে নির্বাচনী প্রচারে যান ৷ সেখানেই তিনি এই অভিযোগ করেন ৷ তাঁর আরও অভিযোগ, উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সমৃদ্ধির দিকে কংগ্রেস কখনও নজর দেয়নি ৷
আগামী 27 ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডে বিধানসভা নির্বাচন (Nagaland Assembly Elections 2023) ৷ আগামিকাল, শনিবার প্রচারের শেষদিন ৷ তার ঠিক আগেরদিনই ডিমাপুরে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী ৷ অংশ নেন নির্বাচনী প্রচারে (Pm Modi rally in Dimapur) ৷ প্রসঙ্গত, নাগাল্যান্ড বিধানসভায় আসন সংখ্যা 60 ৷ 2018 সাল থেকে সেখানে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সরকার হয়েছে ৷ সেই সরকারে জোট সঙ্গী বিজেপি (BJP) ৷ বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা 13 ৷ ফলে এবার ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির ৷
-
Work is underway to connect Kohima with railways. Once connected with railways, it will increase the ease of living and ease of doing business here. From tourism to technology and sports to startups, GoI helping the youth of Nagaland: PM Modi in Nagaland pic.twitter.com/2kdPISvlEf
— ANI (@ANI) February 24, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Work is underway to connect Kohima with railways. Once connected with railways, it will increase the ease of living and ease of doing business here. From tourism to technology and sports to startups, GoI helping the youth of Nagaland: PM Modi in Nagaland pic.twitter.com/2kdPISvlEf
— ANI (@ANI) February 24, 2023Work is underway to connect Kohima with railways. Once connected with railways, it will increase the ease of living and ease of doing business here. From tourism to technology and sports to startups, GoI helping the youth of Nagaland: PM Modi in Nagaland pic.twitter.com/2kdPISvlEf
— ANI (@ANI) February 24, 2023
তাছাড়া ওই রাজ্যে আগে কংগ্রেসের সংগঠন শক্তিশালী ছিল ৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন ৷ কংগ্রেস এবারও নির্বাচনে ভালো ফল করতে মরিয়া ৷ স্বাভাবিকভাবে তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে কংগ্রেসের প্রসঙ্গ ৷ তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস সবসময় দিল্লি থেকে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নাগাল্যান্ড সরকার চালাত । দিল্লি থেকে ডিমাপুর পর্যন্ত কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি করেছে ।’’
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন বিনামূল্যে রেশন থেকে একাধিক প্রকল্পের উদাহরণ দেন ৷ বিশেষ করে নাগাল্যান্ডের জন্য তাঁর সরকার কী কী কাজ করেছে, সেই নিয়েই কথা বলেন ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কংগ্রেসের মতো উত্তর-পূর্বের 8টি রাজ্যকে এটিএম হিসাবে ব্যবহার করি না । আমাদের কাছে উত্তর-পূর্বের 8টি রাজ্য 'অষ্ট লক্ষ্মী'র মতো ।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘বিজেপির প্রতি নাগাল্যান্ডের মানুষের আস্থা বাড়ছে ।’’
-
After many decades, there was no incident of violence during Assembly elections in Tripura as there is a BJP government in the state: PM Narendra Modi in Dimapur, Nagaland pic.twitter.com/v4IFdhy5C4
— ANI (@ANI) February 24, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">After many decades, there was no incident of violence during Assembly elections in Tripura as there is a BJP government in the state: PM Narendra Modi in Dimapur, Nagaland pic.twitter.com/v4IFdhy5C4
— ANI (@ANI) February 24, 2023After many decades, there was no incident of violence during Assembly elections in Tripura as there is a BJP government in the state: PM Narendra Modi in Dimapur, Nagaland pic.twitter.com/v4IFdhy5C4
— ANI (@ANI) February 24, 2023
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘কোহিমাকে রেললাইনের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ চলছে । রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পর কোহিমায় বসবাস সহজ হবে । এখানকার ব্যবসায়িক বৃদ্ধি হবে ৷ পর্যটন, প্রযুক্তি, খেলাধুলো-সহ সবক্ষেত্রেই ভারত সরকার নাগাল্যান্ডের যুবকদের সাহায্য করছে ।’’ তিনি ভোটে হিংসার প্রসঙ্গও তোলেন ৷ ত্রিপুরার উদাহরণ দিয়ে জানান, সেখানে বিজেপির সরকার আছে বলেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে ৷
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে গত 16 ফেব্রুয়ারি ৷ 27 ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের আরও একটি রাজ্য মেঘালয়ে ভোট হবে ৷ এদিন সেখানেও প্রচারে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর ৷ এই রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের ফল বের হবে আগামী 2 মার্চ ৷
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, তেইশে ত্রিপুরা কার দখলে ?