জয়পুর, 10 জুলাই: হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ এবং সাংবিধানিক পথে প্রতিবাদ করছে ৷ মুসলিমদেরও উচিৎ সেই বিক্ষোভে সামিল হওয়া ৷ পয়গম্বর ইস্যুতে নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সম্প্রতি রাজস্থানের উদয়পুরে এক হিন্দু দর্জিকে খুন হতে হয়েছে ৷ উদয়পুর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস (Muslim community should oppose incidents like Udaipur vigorously, says RSS Spokeperson) ৷
আরএসএস মুখপাত্র সুনীল আম্বেদকর (RSS Spokeperson Sunil Ambekar) বলেন, "আমাদের সকলের একসঙ্গে প্রতিবাদ করা দরকার" ৷ গতকাল রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারকদের তিন দিন ধরে বৈঠক শেষ হয় ৷ শেষ দিনে মুখপাত্র জানান, এখন দেশে আরএসএস-এর শাখার সংখ্যা 56 হাজার 824 ৷ 2024-এ তা লক্ষে পৌঁছনোর টার্গেট রেখেছে সংগঠন ৷
2025-এ সংঘের একশো বছর ৷ সেই উদযাপন কী ভাবে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে, জানালেন আম্বেকর ৷ তিনি বলেন, "2024-এ দেশজুড়ে সংঘের 1 লক্ষ শাখা থাকবে ৷ সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবে আরএসএস ৷ একটা সদর্থক পরিবেশ তৈরি হবে ৷" মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার থাকা উচিত ৷ তবে সে ক্ষেত্রে জনসাধারণের আবেগের বিষয়টিও খেয়াল রাখা দরকার ৷
28 জুন উদয়পুরে কানহাইয়া লালের হত্যার ঘটনাকে ধিক্কার জানান সংঘের মুখপাত্র ৷ তিনি বলেন, "আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে ৷ সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার আছে ৷ যদি কারও কিছু পছন্দ না হয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক পথে তা প্রকাশ করা যায় ৷" মুসলিমরাও এর বিরোধিতা করবে, আশা করেন গেরুয়া সংগঠনের মুখপাত্র ৷ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এর প্রতিবাদ করেছেন ৷ কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়েরও এগিয়ে আসা উচিত ৷
উল্লেখ্য, রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা, পেশায় দর্জি কানহাইয়া লাল সাহুকে (Man Killed in Udaipur) 28 জুন দুপুরে তাঁর দোকানে ঢুকে কুপিয়ে খুন করে দুই মুসলিম ব্যক্তি ৷ গোটা ঘটনাটি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া লাল সাহু ৷ সেই জন্যই তাঁকে খুনে করা হয়েছে বলে জানায় দুষ্কৃতীরা ৷
রাজস্থানে সংঘের এই বৈঠকে ছিলেন মোহন ভাগবত, সরকারইয়াভা দত্তাত্রেয়া হোসেবোল-সহ 45 জন সহ-প্রান্ত প্রচারক উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে ৷