নয়াদিল্লি, 28 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের (Sharddha Walkar Murder) জট এখনও পুরোপুরি খুলতে পারেনি দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ৷ তার মধ্যেই রাজধানীতে ওই ধরনের আরও একটি খুনের (Murder) অভিযোগ সামনে এল ৷ অভিযোগ, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেছেন এক মহিলা ৷ তার পর মৃতদেহের 10টি টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয় ৷ পরে তা দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয় ৷ এই অভিযোগে ওই মহিলা ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
শ্রদ্ধা ওয়াকারের ঘটনায় তাঁর প্রেমিক তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ ৷ তার পর মৃতদেহের 35টি টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন আফতাব নামের ওই অভিযুক্ত ৷ দিল্লির একটি জঙ্গলে ওই টুকরোগুলি ফেলে দিয়েছিলেন তিনি ৷ এই ঘটনা সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র ৷
তার মধ্যেই দিল্লির পাণ্ডব নগরের এই ঘটনা সামনে এল ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অঞ্জন দাস নামে এক ব্যক্তিকে গত 30 মে খুন করেন তাঁর স্ত্রী পুনম ও সৎছেলে দীপক ৷ তার পর মৃতদেহের 10টি টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ পরে বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলে দেন ৷
গত 5 জুন পূর্ব দিল্লির কল্যাণপুরীর পুলিশ রামলীলা ময়দান (Ramlila Maidan) থেকে একটি ব্যাগে মৃতদেহের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার হয় ৷ তার পর তদন্ত যত এগোতে থাকে, ততই সামনে আসতে থাকে খুনের তত্ত্ব ৷
পুলিশ জানিয়েছে, অঞ্জনের প্রথম পক্ষের ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে সন্দেহের বশেই তাঁকে খুন করা হয় ৷ তার পর পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তিন-চারদিন ধরে দেহের টুকরোগুলি ফেলে দেওয়া হয় ৷
পুলিশ মৃতদেহের টুকরো রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে যে ফ্রিজটি, সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে পুনম ও দীপককে ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷
পুলিশ জানিয়েছে, রামলীলা ময়দানের কাছে থাকা একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এই তদন্ত রহস্যের সমাধান করা হয়েছে ৷ কারণ, ওই ফুটেজে একটি ব্যাগ হাতে পুনম ও দীপককে ভিতরে যেতে দেখা গিয়েছে ৷
পুলিশ আরও জানিয়েছে, 2017 সালে অঞ্জন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পুনমের ৷ এর আগে বিহারে বিয়ে হয়েছিল অঞ্জনের ৷ প্রথম পক্ষে তাঁর আটজন সন্তান রয়েছে ৷ অন্যদিকে অঞ্জনের আগে কাল্লু নামের একজনকে বিয়ে করছিলেন পুনম ৷ 2016 সালে তিনি মারা যান৷ কাল্লু ও পুনমের ছেলে দীপক ৷