গড়চিরৌলি, 14 নভেম্বর : এনকাউন্টারে খতম হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতা মিলিন্দ তেলতুম্বে ৷ মিলিন্দ ছাড়াও শনিবার 26 জন মাওবাদীকে হত্যা করার কথা জানিয়েছে অ্যান্টি-নকশাল পুলিশ স্কোয়াড ।
মিলিন্দ তেলতুম্বে মাওবাদী সংগঠনের সেন্ট্রাল জোন কমিটির সদস্য ছিল । সে মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশার মতো ছ'টি রাজ্যে সক্রিয় ছিল ৷ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া মিলিন্দ গত 30 বছর ধরে দেশজুড়ে মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত ছিল ৷ তার মাথার দাম 50 লক্ষ টাকাও ধার্য করেছিল পুলিশ ৷
জবতমাল জেলার ওয়ানি তালুকের রাজুরের বাসিন্দা মিলিন্দ বিভিন্ন সময়ে সহ্যাদ্রি, দীপক ইত্যাদি নামকে পোশাক বানিয়েছিল ৷ নিষিদ্ধ মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি অফ স্টেট ছাড়াও সে মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড় (এমএমসি) জোন প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে ৷ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সর্বোচ্চ নেতা ছিল সে ।
চলতি সপ্তাহে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী বিজয় ভাদেত্তিয়াড়ের বিরুদ্ধে একটি চিঠি জারি করা হয় ৷ তাতে নকশালদের দক্ষিণ অঞ্চলের মুখপাত্র শ্রীনিবাসের স্বাক্ষর ছিল ৷ সুরজাগড় খনিগুলির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সমালোচনা করায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে চিঠি জারি করা হয়, তার ভাষা থেকে অনুমান করা হয় যে সেটি স্বয়ং সহ্যাদ্রি অর্থাৎ মিলিন্দের লেখা ৷ শনিবার মাও দমনে পুলিশের এই পদক্ষেপ 3 বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অ্যাকশন হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে ৷
এর আগে 2018 সালের 22 এপ্রিল ভামরাগড় তালুকের কাসানাসুর এবং দামারের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের হাতে প্রায় 40 জন নকশাল নিহত হয় । সেই সময় সাইনাথ ওরফে শিনু নামে এক বড় নকশাল নেতা নিহত হয় । তারপর, চলতি বছরের 21 মে এটাপল্লির পায়ডি জঙ্গলে পুলিশের গুলিতে 13 জন নকশাল নিহত হয় ।
আরও পড়ুন : Gadchiroli maoists Killed: গড়চিরৌলিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হত 26 মাওবাদী, আহত 3 জওয়ান