তেজপুর, 4 অগস্ট: মণিপুরের পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি । রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে । এদিকে বৃহস্পতিবার ফের ভয়াবহ ঘটনা ঘটল রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় । অভিযোগ, মণিপুরের কাংভাই এলাকায় একদল লোক নিরাপত্তা বাহিনীর ডিপোতে হামলা চালায় । সেনাবাহিনী ও ব়্যাফের গুলি চালানোর পর একদল লোক দ্বিতীয় এমআর ও সপ্তম এমআর ব্যাটালিয়ন থেকে 300টিরও বেশি অস্ত্র লুট করে পালিয়ে যায় । শুক্রবার এই খবর সামনে এসেছে ৷
এই নিয়ে প্রশাসনের তরফে কারও কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি ৷ কিন্তু সেনাবাহিনীর তরফে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে ৷ সেই অভিযোগের সঙ্গে কোন কোন ধরনের অস্ত্র লুট হয়েছে, কতগুলি করে অস্ত্র নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিরা, সব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের ইম্ফল পশ্চিম জেলায় চেঞ্জাম চিরাং নামে এক পুলিশকর্মীও নিহত হয়েছেন । জানা গিয়েছে যে ইম্ফল পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্ব জেলার বিভিন্ন দিক থেকে আসা লোকজন মণিপুর রাইফেলসের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়ন এবং উত্তর এওসি-এর সপ্তম ব্যাটালিয়নের খবেইসাইয়ের অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে পালিয়েছে । ইম্ফল পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্ব প্রশাসনের দ্বারা জারি করা একটি বিবৃতি অনুসারে, উত্তেজনা বৃদ্ধির পরে এই এলাকায় সন্ধ্যা কারফিউ জারি করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, ইম্ফলের চূড়াচাঁদপুরে সমাধিস্থ করার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেনাবাহিনী ও ব়্যাফের সঙ্গে বিষ্ণুপুর এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের সংঘর্ষ হয় ৷ নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানের সেল ফাটাতে হয় সেনাবাহিনী ও ব়্যাফকে ৷ তার জেরে 20 জন আহত হন বলে সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ৷
শীর্ষস্থানীয় উপজাতি সংস্থা আইটিএলএফ জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার সকালে চূড়াচাঁদপুর জেলার প্রস্তাবিত সমাধিস্থলে হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরে বিষ্ণুপুরের সীমানা সংলগ্ন চূড়াচাঁদপুর জেলার হাওলাই খোপি গ্রামে নিহত 35 জনের কবর দেওয়ার কাজ স্থগিত করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ইম্ফলের বিষ্ণুপুরে সংঘর্ষে আহত 17, কারফিউ বিধি আরও কঠোর করার নির্দেশ