নয়াদিল্লি, 19 ডিসেম্বর: এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, কংগ্রেসের শশী থারুর, কার্তি চিদম্বরম-সহ লোকসভার 49 জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হল ৷ বিরোধীদের তীব্র হই-হট্টগোলের জেরে সংসদের উভয় কক্ষ দুপুর 2টো পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয় ।
সংসদে অনুপ্রবেশ কাণ্ডে লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই সংসদের উভয় কক্ষে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধী দলগুলি ৷ শীতকালীন অধিবেশন চলতে দেওয়া হচ্ছে না - এই অভিযোগে সোমবার সংসদের উভয় কক্ষের 92 জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল । এই সাংসদদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশও ।
সেই ধারাই অব্যাহত থাকে মঙ্গলবারও ৷ এ দিনই অধিবেশনের শুরু থেকেই একই দাবিতে সরব হন বিরোধীরা ৷ লোকসভায় তাঁরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালে, 49 জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় ৷ সুপ্রিয়া সুলে, শশী থারুর, কার্তি চিদম্বরম ছাড়াও এ দিন সাসপেন্ড হওয়া অন্য সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, এসটি হাসান, কংগ্রেসের মণীশ তেওয়ারি, দানিশ আলি, ফারুখ আবদুল্লাহ, প্রীতম সিং, মহম্মদ ফয়জাল ও তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় । দুই দিনে সংসদের উভয় কক্ষ থেকে মোট 141 জন সাংসদকে সসাপেন্ড করা হয়েছে ।
সোমবার রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের নেতা পীযূষ গোয়েল সংসদে হট্টগোল সৃষ্টি করার জন্য এবং চেয়ারের বারবার করা আবেদনকে অস্বীকার করার জন্য বিরোধী কংগ্রেসের নিন্দা করেন ।
এ দিকে, সাসপেন্ড হওয়া লোকসভার আপ সাংসদ সুশীল কুমার রিঙ্কু বলেছেন, "যাঁরা সত্য কথা বলছে এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে তাঁদের হাউস থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । সংসদে যে ধরনের নোংরা রাজনীতি ঘটছে তা জনগণ দেখছে ৷" সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান ।
আরও পড়ুন: