নাগপুর, 3 জুন : অস্তিত্ব সংকটে উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদের ৷ মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে, এহেন জল্পনায় উত্তাল দেশ ৷ বারাণসী আদালতে চলছে এই সংক্রান্ত মামলা ৷ পুরাতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে আদালতের নির্দেশে মসজিদে চলছে ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষা ৷ জ্ঞানবাপীর সূত্র ধরে কুতুব মিনার কিংবা তাজমহলের প্রকৃত সত্য উদঘাটনেও যখন সরব হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ, তখন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের গলায় উলটো সুর ৷ ধরে-ধরে দেশের সকল মসজিদে শিবলিঙ্গ খুঁজতে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সঙ্ঘপ্রধান (Mohan Bhagwat questions over looking for shivling in every mosque) ৷ একইসঙ্গে বিতর্কে রাশ টেনে পারস্পরিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে বোঝাপড়ার ডাক দিলেন তিনি ৷
নাগপুরের একটি অনুষ্ঠান থেকে মোহন ভাগবত বলেন, "কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি থাকতেই পারে ৷ তাই বলে রোজ রোজ নতুন ঘটনা বের করে আনার কোনও মানে হয় না ৷ বিতর্ক বাড়িয়ে কী লাভ ? জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রতি আমাদের ভক্তি কাজ করেছে, সেটা ঠিক আছে ৷ কিন্তু তাই বলে সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খুঁজতে যাওয়া অর্থহীন ৷"
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা বারাণসী দায়রা আদালতের হাতে সঁপে দিল শীর্ষ আদালত
এখানেই শেষ নয় ৷ সঙ্ঘপ্রধানের কথায়, "জ্ঞানবাপী মন্দিরের ঘটনা প্রবহমান ৷ কিন্তু তা বলে আমরা ইতিহাস বদলে দিতে পারি না ৷ এ যুগের হিন্দু কিংবা মুসলিমরা এগুলো তৈরি করেনি ৷ মুসলিমরা এদেশে আক্রমণ করে দেবস্থানগুলিকে ধ্বংস করে ভারতের স্বাধীনতাকামী মানুষদের নীতিবোধে কুঠারাঘাত করতে চেয়েছিল ৷" রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ কোনওপ্রকার পুজোপাঠের বিরোধী নয় বলেও মতপোষণ করেন ভাগবত ৷ আরএসএস প্রধান জানান, হতে পারে মুসলিমদের ঈশ্বর আরাধনার রীতি আলাদা ৷ কিন্তু তাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদের ঋষি, মুনি, ক্ষত্রিয়দেরই বংশধর ৷