নয়াদিল্লি ও কলকাতা, 18 জুলাই: বিরোধীদের বৈঠকের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেই বাংলায় ভোট-হিংসার সমালোচনায় নরেন্দ্র মোদি । সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না নিলেও, পঞ্চায়েত ভোট-হিংসা নিয়ে শাসকদলকেই বিঁধলেন মোদি । জানালেন, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার পর কীভাবে একটা দল বিরোধী বৈঠকে যোগ দিতে পারছে । কেন বাংলার ভোট হিংসা ঘিরে প্রতিবাদী নন বিরোধীরা ? যদিও মোদির এই বক্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও । যেখানে বলা হচ্ছে, বিরোধী বৈঠকে ভয় পেয়েই নরেন্দ্র মোদি এত কথা বলছেন । চোব্বিশের বিদায়ঘণ্টা তিনি শুনতে পাচ্ছেন বলেই কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের ।
পোর্ট ব্লেয়ারে বীর সাভারকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মোদি ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে । যেখানে তিনি একের পর এক বিদ্রুপ শানিয়েছেন তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে । মোদির ভার্চুয়াল বক্তব্যে উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিষয়ক বক্তব্যের চেয়ে বিরোধী বৈঠক ঘিরে কটাক্ষ ছিল বেশি । যেখানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না করে প্রথমেই বললেন, " পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগাতার খুনোখুনি, হিংসার পরও বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি বাম-কংগ্রেসকে । নেতারা নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবেছেন, আর তাদের কর্মী সমর্থকরা ভোটে প্রাণ হারিয়েছেন। " মোদির এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, " বিরোধীদের ভাঙতেই মোদির এই কটাক্ষ-ছক । যেখানে তিনি 2024 ভোটের বিদায়-ঘণ্টা শুনতে পচ্ছেন । " মোদির দাবি, বিরোধীদের মধ্যে এমন অনেক দল আছে, যাঁরা রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পায়নি । বিরোধীরা দল বাড়াতে তাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছে ।
আরও পড়ুন: 'কট্টর দুর্নীতিগ্রস্তদের সম্মেলন চলছে', বিরোধী বৈঠককে তীব্র কটাক্ষ মোদির
বিরোধী বৈঠক ঘিরে মোদির ময়দানে নামাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল । শান্তনু সেনের কথায়, প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত, ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তিন থেকে চার মাস বিরোধীরা বাড়ি ফিরতে পারেনি। সেখানে বিপুল ভোটে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। উত্তরপ্রদেশেও 70 শতাংশের বেশি আসনে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। তখন কোথায় ছিলেন উনি। বাংলার ভোট হিংসার প্রসঙ্গে শান্তনু সেনের জবাব, প্রধানমন্ত্রীর জানা উচিত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে বাংলায় যে সন্ত্রাস চলেছে তার প্রধান কারিগর বিজেপি ।
সবমিলিয়ে, মোদির কটাক্ষের পালটা জবাব দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মোদি চব্বিশের ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়েই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ।