ইম্ফল, 6 নভেম্বর: মণিপুরে ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞা 8 নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে প্রশাসন। এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ 3 মে থেকে মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ৷ সেপ্টেম্বরে কিছুদিনের জন্য তা ফের চালু করা হলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ গত বুধবার মণিপুর রাইফেলসের একটি শিবিরে হামলা করে জনতা। অস্ত্র লুটের ঘটনাও ঘটে। তারপর এমনই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ৷
গত মে মাস থেকে কুকি ও মেইতেই জনজাতির অশান্তিতে উত্তপ্ত মণিপুর। এখনও পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় দু'শো জনের। বারবার চেষ্টা করেও শান্তি ফেরানো যায়নি সেখানে। এরই মাঝে মণিপুরে কুকি জঙ্গি হামলা হয় মঙ্গলবারে। গুলি করে হত্যা করা হয় এক পুলিশ আধিকারিককে। ঘটনাটি ঘটেছে মোরেহ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোরেহ'র 7 নম্বর ওয়ার্ডে স্কুল গ্রাউন্ডে ওই পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এদিন যে পুলিশ আধিকারিককে হত্যা করা হয় তিনিও মেইতেই সম্প্রদায়ের। গত কয়েকদিনে, পুলিশ মায়ানমারের সীমান্ত এলাকা থেকে বেশ কিছু অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।
সেই ঘটনার পর একাংশের দাবি, সেখানে যখন শান্তি ফিরতে চলেছে তখন একটি অংশ উসকানি দিয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। তারই একটি প্যাটার্ন হল পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় ঘৃণাভাষণ এবং এই ধরনের ছবি ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে সমাজবিরোধীরা। প্ররোচনা দিতে পারে সাধারণ মানুষকে। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা প্রভাবিত হতে পারে। সে কারণেই মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। এই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র কমিশনার টি রঞ্জিত সিংহ। সেখানে জানানো হয়েছে, সমাজমাধ্যমের দ্বারা সাধারণ মানুষকে 'প্ররোচনামূলক তথ্য, ভুয়ো খবর' দেওয়া হতে পারে। এর ফলে সরকারি, ব্যক্তিগত সম্পত্তিহানি, এমনকী জীবনহানি পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: কুকিদের জন্য পৃথক কেন্দ্রশাসিত এলাকার দাবি, খতিয়ে দেখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক