ETV Bharat / bharat

Manipur Influx in Mizoram: অশান্ত মণিপুর! প্রায় 8 হাজার বাসিন্দার ভিড় মিজোরামে

author img

By

Published : Jun 2, 2023, 12:36 PM IST

এমনিতেই মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে অনুপ্রবেশ ঘটছে ৷ তারপর মণিপুরের অশান্তির ঘটনার পর বহু মানুষ পালিয়ে এই রাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছে ৷ এতে সরকারের উপর আর্থিক চাপ বাড়ছে ৷

ETV Bharat
মিজোরাম

আইজওয়াল, 2 জুন: মণিপুরের অশান্তির পরোক্ষ প্রভাব মিজোরামে ৷ মে মাসের শুরুতে মণিপুরে কুকি ও মেইট গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য ৷ হিংসাত্মক ঘটনায় সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে 80 জনের ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন ৷ তাও প্রাণ ভয়ে বহু মানুষ রাজ্য ছাড়ছে ৷

বহু মানুষ মণিপুর ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামে চলে আসছেন ৷ এমনিতেই মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করছে বহু শরণার্থী ৷ এতে সরকারের কোষাগারে 38 কোটি টাকার বোঝা চেপেছে ৷ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক জানান, মণিপুর থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় 8 হাজার মানুষ মিজোরামে প্রবেশ করেছে ৷ তাই সরকারের ঘাড়ে আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে ৷

মিজোরাম ও মণিপুরের মধ্যে 95 কিলোমিটার সীমানা রয়েছে ৷ মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্ত 722 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে রাজ্য 318 কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ৷ তাই বাংলাদেশ-মায়ানমার থেকে এই রাজ্যে বিভিন্ন জনজাতির মানুষ প্রবেশ করে ৷ কেন্দ্রের অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানা হয় না বলে অভিযোগ ৷

কুকি ও মেইটি সম্প্রদায়ের জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষের ফলে কুকিরাই মণিপুর ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে ৷ আর মিজোরামে এমনিতেই বাংলাদেশ-মায়ানমারের জনজাতির ভিড় উপচে পড়ছে ৷ রাজ্য সরকার এই শরণার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: অশান্তি থামাতে মণিপুরে গুলি করার নির্দেশ, বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা শাহের; উদ্বিগ্ন মমতাও

মিজোরামে চিন-কুকি-মিজো জনজাতির বাস ৷ মায়ানমারের চিন পাহাড়ি এলাকা, বাংলাদেশের চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস, মণিপুরের কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত মিল রয়েছে ৷ তাই মায়ানমার ও বাংলাদেশে হিংসাত্মক ঘটনায় জেরবার মানুষ সহজেই মিজোরামে এসে আশ্রয় নেয় ৷

রাজ্য সরকারের রেকর্ড অনুযায়ী, মায়ানমারের 40 হাজার নাগরিক, 700 বাংলাদেশ নাগরিক এবং মণিপুর থেকে প্রায় 8 হাজার মানুষ মিজোরামে এসেছে ৷ এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল, প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে কোনও শরণার্থীকে রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া যাবে না ৷ মিজোরাম সরকার তা মানেনি ৷ 2021 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নাগরিকেরা মিজোরামে চলে আসেন ৷ গত অক্টোবরে বাংলাদেশের সেনা ও কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ সেখান থেকেও মানুষ মিজোরামে ঢুকে পড়ে ৷

মিজোরামের বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই শরণার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ৷ দ্য সেন্ট্রাল ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আর লালনঘেটা জানিয়েছেন, তাঁর সংগঠন মায়ানমারদের আশ্রয় দিতে 57 লক্ষ টাকা খরচ করছে ৷ আর বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য 31 লক্ষ টাকা ৷ কাজেই, উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য হলেও অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মিজোরাম ৷

আরও পড়ুন: মণিপুরকে শান্ত করতে 'অমিতবার্তা'! ন্যায়বিচারের আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

আইজওয়াল, 2 জুন: মণিপুরের অশান্তির পরোক্ষ প্রভাব মিজোরামে ৷ মে মাসের শুরুতে মণিপুরে কুকি ও মেইট গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য ৷ হিংসাত্মক ঘটনায় সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে 80 জনের ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন ৷ তাও প্রাণ ভয়ে বহু মানুষ রাজ্য ছাড়ছে ৷

বহু মানুষ মণিপুর ছেড়ে প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামে চলে আসছেন ৷ এমনিতেই মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করছে বহু শরণার্থী ৷ এতে সরকারের কোষাগারে 38 কোটি টাকার বোঝা চেপেছে ৷ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক জানান, মণিপুর থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় 8 হাজার মানুষ মিজোরামে প্রবেশ করেছে ৷ তাই সরকারের ঘাড়ে আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে ৷

মিজোরাম ও মণিপুরের মধ্যে 95 কিলোমিটার সীমানা রয়েছে ৷ মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্ত 722 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে রাজ্য 318 কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ৷ তাই বাংলাদেশ-মায়ানমার থেকে এই রাজ্যে বিভিন্ন জনজাতির মানুষ প্রবেশ করে ৷ কেন্দ্রের অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানা হয় না বলে অভিযোগ ৷

কুকি ও মেইটি সম্প্রদায়ের জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষের ফলে কুকিরাই মণিপুর ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে ৷ আর মিজোরামে এমনিতেই বাংলাদেশ-মায়ানমারের জনজাতির ভিড় উপচে পড়ছে ৷ রাজ্য সরকার এই শরণার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন: অশান্তি থামাতে মণিপুরে গুলি করার নির্দেশ, বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা শাহের; উদ্বিগ্ন মমতাও

মিজোরামে চিন-কুকি-মিজো জনজাতির বাস ৷ মায়ানমারের চিন পাহাড়ি এলাকা, বাংলাদেশের চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস, মণিপুরের কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত মিল রয়েছে ৷ তাই মায়ানমার ও বাংলাদেশে হিংসাত্মক ঘটনায় জেরবার মানুষ সহজেই মিজোরামে এসে আশ্রয় নেয় ৷

রাজ্য সরকারের রেকর্ড অনুযায়ী, মায়ানমারের 40 হাজার নাগরিক, 700 বাংলাদেশ নাগরিক এবং মণিপুর থেকে প্রায় 8 হাজার মানুষ মিজোরামে এসেছে ৷ এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল, প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে কোনও শরণার্থীকে রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া যাবে না ৷ মিজোরাম সরকার তা মানেনি ৷ 2021 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নাগরিকেরা মিজোরামে চলে আসেন ৷ গত অক্টোবরে বাংলাদেশের সেনা ও কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ সেখান থেকেও মানুষ মিজোরামে ঢুকে পড়ে ৷

মিজোরামের বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই শরণার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ৷ দ্য সেন্ট্রাল ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আর লালনঘেটা জানিয়েছেন, তাঁর সংগঠন মায়ানমারদের আশ্রয় দিতে 57 লক্ষ টাকা খরচ করছে ৷ আর বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য 31 লক্ষ টাকা ৷ কাজেই, উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য হলেও অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মিজোরাম ৷

আরও পড়ুন: মণিপুরকে শান্ত করতে 'অমিতবার্তা'! ন্যায়বিচারের আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.