কোল্লাম, 25 মার্চ: পুরুষরা এখানে মহিলা সাজেন ৷ কেরলের কোল্লাম জেলায় কোট্টানকুলাঙ্গারা শ্রী ভগবতী মন্দিরে চামায়াভিলাক্কু উৎসবের সূচনা হয়েছে ৷ দেখা গিয়েছে, পুজো দিতে বহু 'মহিলা' দেবতার সামনে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৷ তবে তাঁরা কিন্তু আসলে মহিলা নন, পুরুষ ৷ কেরলে এটাই একমাত্র মন্দির যেখানে পুরুষেরা মহিলাদের মতো সেজেগুজে এই উৎসব উদযাপন করেন ৷ চামায়াভিলাক্কু উৎসব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরও উৎসব ৷ প্রচলিত রীতি, মাঠেঘাটে গরু-ছাগল চড়ায় এমন মানুষেরাই প্রথম (cowherds wearing the clothes of women) দেবতার পুজো দেন ৷ তাঁরা মহিলার পোশাক পরে সেজেগুজে আসেন (Men dresses up like women in Chamayavilakku festival in Kerala) ৷
দু'দিনের এই উৎসবে প্রতি বছর বিশাল সংখ্যক পুরুষ পুণ্যার্থী আসেন ৷ পুরুষরা মহিলা সেজে পঞ্চপ্রদীপ হাতে দেবতার পুজো করেন, আশীর্বাদ কামনা করেন ৷ দু'দিনই এই উৎসব মাঝরাত পর্যন্ত চলে ৷ মালায়ালম ক্যালেন্ডারের দশম ও এগারোতম মাস 'মিনাম'-এ এই উৎসব হয় ৷ উৎসব পালনের দু'দিন আগে থেকে মন্দিরের কাছে সাজগোজের জায়গা তৈরি করে দেওয়া হয় ৷
কোটানকুলাঙ্গারা মন্দিরের কাহিনী
একদিন এক রাখাল বালকরা গরু-ছাগল চড়াতে মাঠে যায় ৷ তারা সেখানে একটি নারকেল পায় ৷ রাখাল বালকরা সেই নারকেলটি ভাঙার চেষ্টা করে ৷ তারা পাথর দিয়ে নারকেলটিকে আঘাত করে ৷ হঠাৎ সেই নারকেল থেকে রক্ত বেরতে আরম্ভ করে ৷ রাখাল বালকেরা তাদের পরিবারকে বিষয়টি জানায় ৷ তারা জ্যোতিষীদের ডেকে আনে ৷ জ্যোতিষীরা পাথরটিকে ভালো করে পরীক্ষা করেন ৷ তাঁরা বুঝতে পারেন এই পাথরটিতে দেবী বনদুর্গার শক্তি রয়েছে ৷ জ্যোতিষিরী স্থানীয়দের একটি মন্দির তৈরির নির্দেশ দেন ৷ প্রতিদিন সেখানে একটি নারকেল ভেঙে দেবতাকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় ৷ এটাই মন্দিরের প্রধান উপাচার ৷
আরও পড়ুন: সারা বছর তালাবন্ধ, শুধু শিবরাত্রিতে খোলে এই শিব মন্দির