নয়াদিল্লি, 2 জুন: এতদিন চুপ ছিলেন সকলে ৷ যেই অলিম্পিক্স এবং কমনওয়েলথ গেমসের পদক বিসর্জনের হুমকি দিয়েছেন কুস্তিগীররা ৷ তখনই নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বরা ৷ বিশেষত, ভারতীয় ক্রিকেটের হুজ হু-রা ৷ 1983 বিশ্বকাপ জয়ী দলের তরফে সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া এবং ভিনেশদের কাছে তাঁদের আর্জি, তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত যেন না নেন ৷ অর্থাৎ, 5 দিন পর যে পদক বিসর্জনের হুঁশিয়ারি তাঁরা দিয়েছেন, তা যেন বাস্তবে ঘটিয়ে না ফেলেন ৷ আশা প্রকাশ করা হয়েছে, তাঁদের অভিযোগ শোনা এবং তার সমাধান করা হবে ৷
রেসলিং ফেডেরেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন সাক্ষী, ভিনেশ এবং সঙ্গীতাদের মতো প্রথমসারির কুস্তিগীররা ৷ কিন্তু, গত রবিবার যন্তর মন্তর থেকে তাঁদের জোর করে হঠিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ ৷ যার পর বুধবার কুস্তিগীররা তাঁদের পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে হরিদ্বারে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷ কৃষক নেতাদের হস্তক্ষেপে সেই সময় তাঁদের আটকানো হয় ৷ কিন্তু, সেদিনই কেন্দ্রকে ভাবার জন্য 5 দিনের সময় বেঁধে দেন কুস্তিগীররা ৷ তার মধ্যে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নিলে, হর কি পৌরির ঘাট থেকে অলিম্পিক্স ও কমনওয়েলথ মেডেল ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: 5 জুন ব্রিজভূষণের জনসভার আবেদন খারিজ অযোধ্যা প্রশাসনের
এই পরিস্থিতিতে কুস্তিগীরদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে 1983 বিশ্বকাপ জয়ী দল ৷ তাড়াহুড়ো করে তাঁরা যেন কোনও ভুল সিদ্ধান্ত না নেন ৷ সেই আর্জি জানিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে 83-র বিশ্বকাপ জয়ী দল ৷ সেখানে বলা হয়েছে, "আমাদের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরদের মারধরের অপ্রীতিকর দৃশ্যে আমরা ব্যথিত ও বিরক্ত ৷ পাশাপাশি, আমরা এই খবরেও চিন্তিত যে, তাঁরা নিজেদের কঠোর পরিশ্রমে জেতা মেডেল গঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করছে ৷"
আরও পড়ুন: যৌন সুবিধা চাইতেন ব্রিজ ভূষণ, আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করতেন মহিলা কুস্তিগীরদের; যা রয়েছে এফআইআর-এ
এই চরম পদক্ষেপ যাতে কুস্তিগীররা না নেন, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে বিশ্বকাপ জয়ী দলের তরফে ৷ বলা হয়েছে, "এই পদকগুলির পিছনে বছরের পর বছর ধরে তাঁদের চেষ্টা, ত্যাগ, সংকল্প এবং দৃঢ়তা জড়িত এবং এটি কেবল তাঁদের নিজস্ব নয়, জাতির গর্ব এবং আনন্দ ৷ আমরা তাঁদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, কোনও রকম হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য ৷" একই সঙ্গে আইনের উপর ভরসা রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে ৷ তাঁদের বিশ্বাস বিচার ব্যবস্থা তাঁদের অভিযোগ শুনবে ৷