মথুরা, 29 মে: 9 বছরের বালকের উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে তাকে হত্যা ৷ গ্রেফতার হওয়ার পর জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত ৷ পুলিশি তৎপরতা ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধের 15 দিনের মধ্যে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল বিশেষ পক্সো আদালত ৷ উত্তরপ্রদেশের মথুরাতে ঘটেছে এই ঘটনা ৷
8 এপ্রিল নিখোঁজ শিশু: সদর বাজার থানার ঔরঙ্গাবাদ এলাকার বাসিন্দা 9 বছরের এক বালক 8 এপ্রিল বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । শিশুটির বাবা পরের দিন সদর বাজার থানায় একটি নিখোঁজ মামলা করেন ৷ সাইফ নামে এক ব্যক্তি তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে থাকতে পারে বলে জানান তিনি ৷
এরপর শিশুটিকে খুঁজে বের করতে এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে পুলিশ । সেই সঙ্গে দল গঠন করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয় । এ দিকে, ঔরঙ্গাবাদ এলাকায় সাইফকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ । পুলিশের কড়া জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে অপরাধ স্বীকার করে নেয় সাইফ ৷ তার কথামতোই ঔরঙ্গাবাদ এলাকা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ।
শ্বাসরোধ করে হত্যা: ধৃত সাইফ জানায়, অপরাধ করার পর যাতে তার পরিচয় কারও সামনে না আসে, সে জন্য ওই শিশুকে লোহার স্প্রিং দিয়ে শ্বাসরোধ করে সে হত্যা করে । পুলিশ সাইফের বিরুদ্ধে 363, 302, 201, 377 এবং পস্কোর 6নং ধারায় মামলা দায়ের করে । অভিযুক্ত কেডিএ কলোনি থানা জাজমাউ কানপুরের বাসিন্দা এবং সে থাকত ঔরঙ্গাবাদে ।
15 দিনের মধ্যে সাজা: সরকার পক্ষের আইনজীবী অলকা উপমন্যু জানান যে, 2023 সালের 8 এপ্রিল সদর বাজার থানা এলাকার বাসিন্দা 30 বছর বয়সি সাইফ 9 বছর বয়সি এক কিশোরের উপর যৌন নীপিড়ন চালায় । এরপর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার দেহ ফেলে পালায় অভিযুক্ত ৷ 28 এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ । 2 মে আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয় ।
মামলায় মোট 14 জন সাক্ষীকে হাজির করা হয় । প্রথম সাক্ষ্য নেওয়া হয় 8 মে । 18 মে সকলের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় । এরপর 22 মে চূড়ান্ত সওয়াল-জবাব হয় । 26 মে বিশেষ জজ পক্সো আইনের বিচারক রামকিশোর যাদব অভিযুক্ত সাইফকে সমস্ত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন । এরপর সোমবার বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন । সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে ।
দোষীকে 26 দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল পক্সো আদালত: উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগে মথুরার অতিরিক্ত দায়রা জজ পক্সো আইন বিপিন কুমার 26 দিনের মধ্যে একটি 10 বছর বয়সি বালিকাকে যৌন হেনস্থায় দোষী সাব্যস্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন । আসামি মেয়েটির প্রতিবেশী ছিলেন এবং খাবার খাওয়ানোর অছিলায় ওই বালিকাকে নিয়ে গিয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় ৷ আসামি আদালত ও পুলিশের সামনে তার অপরাধ স্বীকার করে । আসামি বলেছে, সে মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করে ৷
প্রতাপগড়ে 10 দিনের মধ্যে ধর্ষকের সাজা: উল্লেখ্য, প্রতাপগড়ের পকসো আদালত ধর্ষককে 10 দিনের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সংশোধনাগারে থাকার সাজা দিয়েছিল । ঘুমন্ত অবস্থায় মাঠে নিয়ে গিয়ে 6 বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থা করে আসামি । নিগৃহীতার আত্মীয়রা ক্ষেত থেকে আসামিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে ।
আমরোহা আদালত 14 দিনের মধ্যে দেয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: একইভাবে, আমরোহা জেলায় আদালত 14 দিনের মধ্যে ধর্ষণে দোষী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 53 হাজার টাকা জরিমানা করেছিল । শুধু তাই নয়, চার্জশিট দাখিলের 6 দিনের মধ্যে রায় দেয় আদালত ।
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত তৃণমূল নেতার ভাই