নয়াদিল্লি, 28 ডিসেম্বর: চিন, জাপান-সহ দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের দেশগুলিতে ফের করোনার মাথাচাড়ায় উদ্বিগ্ন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রকও ৷ বিধিনিষেধ লাগু না-হলেও ভাইরাসের নয়া উপপ্রজাতি BF.7 যাতে ভারতে সুবিধা না-করতে পারে সেজন্য শুরু থেকেই দৃষ্টান্তমূলক একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৷ চিন-সহ পাঁচ দেশফেরৎ বিমানযাত্রীদের দেশে পৌঁছনো মাত্রই আরটিপিসিআরের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ এমতাবস্থায় আগামী একমাস ভারতের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry says next 30 days crucial) ৷
যদিও এখনই মাস্ক বাধ্যতামূলক করার পথে হাঁটছে না কেন্দ্র ৷ কিন্তু অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে BF.7-এর ক্ষেত্রে আরও সাবধানী স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৷ এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে জানিয়েছে, "আগে আমরা দেখেছি পূর্ব এশিয়ায় হানা দেওয়ার 30-35 দিন পর ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ভারতে প্রবেশ করে ৷ এটাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷"
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) বুধবার সংবাদমাধ্যমে একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন ৷ যেখানে প্রকাশ পেয়েছে যে, গত দু'দিনে এদেশে পা-রাখা 6000 আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীর দেহে ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে 38 জনের দেহে ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ৷ যদিও তার মধ্যে কতজন BF.7 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত, সে তথ্য সামনে আসেনি এখনও ৷
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত বিদেশ ফেরত 19, সতর্ক কর্ণাটক প্রশাসন
তবে ভারতে যে বিপুল সংখ্যায় টিকাকরণ হয়েছে, তার সুফল দেশ এখন পাচ্ছে বলেই দাবি করেছেন মনসুখ মান্ডব্য ৷ একইসঙ্গে মাস্ক কোনওভাবেই বাধ্যতামূলক করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ আগামিকাল নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷ মান্ডব্যর কথায়, "নিশ্চিতভাবে বলা যায় দেশে কোভিড নিয়ে কোনওরকম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি (Mansukh Mandaviya says there is no COVID surge in the country) ৷ তবে প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন যাতে কোনও জটিল পরিস্থিতি তৈরি না হয় ৷"