ইম্ফল, 21 জুলাই: মণিপুরে মহিলাদের নগ্ন করে প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তকে 11 দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল। শুক্রবার মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, "চার অভিযুক্তকে 11 দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ।"
গ্রেফতার চার: আধিকারিকরা জানান, বৃহস্পতিবার চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় । বৃহস্পতিবার মণিপুর পুলিশ একটি টুইটে লিখেছে, "ভাইরাল ভিডিয়ো মামলায় গ্রেফতার চার প্রধান অভিযুক্ত: থাউবাল জেলার অধীনে নংপোক সেকমাই পিএস অপহরণ এবং গণধর্ষণের জঘন্য অপরাধে তিন জন প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তাই এখনও পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷"
স্বতঃপ্রণোদিত মামলা: মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার একদিন পর চার মে এই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ । সেই ঘটনার ভিডিয়ো গত বুধবার ভাইরাল হওয়ার পরে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে এবং প্রধান অভিযুক্ত-সহ 4 জনকে গ্রেফতার করে । ভিডিয়োটি দেখে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বলেছে যে, অপহরণ, গণধর্ষণ এবং হত্যার একটি মামলা থৌবাল জেলার নংপোক সেকমাই থানায় অজ্ঞাত সশস্ত্র লোকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে ।
আরও পড়ুন: 'দেশকে রক্ষা করলেও স্ত্রীর সম্ভ্রম বাঁচাতে পারিনি', আক্ষেপ মণিপুরের নির্যাতিতার সৈনিক স্বামীর
'দোষীরা রেহাই পাবে না': এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের সামনে নগ্ন অবস্থায় হাঁটানোর আগে ওই মহিলাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন, তিনি এই ঘটনায় ব্যথিত, যে কোনও সুশীল সমাজের জন্য এই ঘটনা লজ্জাজনক । তাঁর কথায়, "কোনও অভিযুক্তকে রেহাই দেওয়া হবে না, যারা এর পিছনে রয়েছে আমরা তাদের কখনওই ক্ষমা করব না ৷"
জ্বলছে মণিপুর: মণিপুরে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে 160 জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন ৷ মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) তকমার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হয় । মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় 53 শতাংশ মেইতির এবং বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে ৷ আর 40 শতাংশ নাগা ও কুকি উপজাতি যাঁদের বেশিরভাগই পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করে ।