ETV Bharat / bharat

Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে 28 বছর পর চাকরি পেলেন ব্যক্তি - postal department

1995 সালে ডাক বিভাগে এক ব্যক্তি চাকরির আবেদন করেন, পরীক্ষাতেও পাস করেন ৷ পরে মেরিট লিস্ট থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয় ৷ আদালতের দারস্থ হন ওই ব্যক্তি ৷ 28 বছর পর ওই ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত ৷

ETV Bharat
সুপ্রিম কোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 25, 2023, 9:15 PM IST

নয়াদিল্লি, 25 অক্টোবর: চাকরির আবেদন করার দীর্ঘ 28 বছর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি পেলেন এক ব্যক্তি ৷ ওই ব্যক্তির আবেদনে কোনও ভুল ছিল না, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মেরিট লিস্ট থেকে তাঁর নাম বাদ পড়েছিল, এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ৷ আদালত জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট পদে চাকরির অযোগ্য বলে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতে ত্রুটি ছিল ৷ 1995 সালে অঙ্কুর গুপ্তা নামে ওই ব্যক্তি পোস্টাল অ্যাসিস্টেন্ট পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ৷ প্রথম পর্বের ট্রেনিংয়ে তিনি অন্তর্ভূক্ত হলেও পরে তাঁকে ওই পরীক্ষার মেরিট লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় ৷ ভোকেশনাল মাধ্যম থেকে পড়াশোনা করেছেন, এই যুক্তি দেখিয়ে মেরিটলিস্ট থেকে ওই ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল ৷ সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্তকেই খারিজ করেছে ৷

এর আগে অঙ্কুর গুপ্তা ও আরও কয়েকজন ব্যক্তি ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে 1999 সালে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে আবেদন করেছিলেন ৷ সেখানে তাঁদের পক্ষেই রায় হয় ৷ কিন্তু, ডাক বিভাগ ট্রাইবুনালের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে 2000 সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করে ৷ হাইকোর্ট 2017 সালে ডাক বিভাগের করা সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ও সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের নির্দেশই বহাল রাখে ৷ 2021 সালে হাইকোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হলে সেটিও খারিজ হয়ে যায় ৷ এরপর ডাক বিভাগের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয় ৷ কিন্তু সেখানেও ডাক বিভাগের আবেদনে মান্যতা দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত ৷

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারপতিদের আদালতের নিয়ম মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানিয়েছে, একবার যখন কোনও পরীক্ষার্থীর নাম মেরিট লিস্টের অন্তর্ভূক্ত হয়, তখন ন্যায্য সুযোগ পাওয়া তাঁর অধিকার ৷ এক্ষেত্রে বিভেদমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া কাম্য নয় ৷ এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারীর মতো কোনও চাকরিপ্রার্থীকে কোনও কারণ ছাড়াই বাদ দেওয়া যায় না ৷ আদালত এও মনে করে, যদি অযোগ্য হতো তাহলে ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই বাদ দিয়ে দেওয়া যেত, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো ৷

1996 সালের 15 মার্চ প্রাথমিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার পর ওই ব্যক্তিকে যে প্রি-ইনডাকশন ট্রেনিংয়েও অন্তর্ভূক্ত করা হয় তাও মনে করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এতকিছুর পর ওই ব্যক্তির চাকরি পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলেই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ৷ ডাক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই ব্যক্তিকে প্রাথমিক ভাবে প্রোবেশন পিরিয়ডে পোস্টাল অ্যাসিস্টেন্ট পদে নিয়োগ করতে হবে, একমাসের মধ্যে ৷ যদি সেই পদ ফাঁকা না থাকে তবে অন্য পদ তৈরি করে তাঁকে নিয়োগ করতে হবে ৷ তবে ওই ব্যক্তি যেহেতু কাজ করেননি, তাই তিনি এত বছরের বেতন ও সিনিয়রিটি সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাও পাবেন না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷

আরও পড়ুন: স্ত্রী স্নাতক বলে চাকরি করতে বাধ্য করা যাবে না, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

নয়াদিল্লি, 25 অক্টোবর: চাকরির আবেদন করার দীর্ঘ 28 বছর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি পেলেন এক ব্যক্তি ৷ ওই ব্যক্তির আবেদনে কোনও ভুল ছিল না, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মেরিট লিস্ট থেকে তাঁর নাম বাদ পড়েছিল, এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ৷ আদালত জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট পদে চাকরির অযোগ্য বলে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতে ত্রুটি ছিল ৷ 1995 সালে অঙ্কুর গুপ্তা নামে ওই ব্যক্তি পোস্টাল অ্যাসিস্টেন্ট পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ৷ প্রথম পর্বের ট্রেনিংয়ে তিনি অন্তর্ভূক্ত হলেও পরে তাঁকে ওই পরীক্ষার মেরিট লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় ৷ ভোকেশনাল মাধ্যম থেকে পড়াশোনা করেছেন, এই যুক্তি দেখিয়ে মেরিটলিস্ট থেকে ওই ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল ৷ সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্তকেই খারিজ করেছে ৷

এর আগে অঙ্কুর গুপ্তা ও আরও কয়েকজন ব্যক্তি ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে 1999 সালে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে আবেদন করেছিলেন ৷ সেখানে তাঁদের পক্ষেই রায় হয় ৷ কিন্তু, ডাক বিভাগ ট্রাইবুনালের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে 2000 সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করে ৷ হাইকোর্ট 2017 সালে ডাক বিভাগের করা সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ও সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের নির্দেশই বহাল রাখে ৷ 2021 সালে হাইকোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হলে সেটিও খারিজ হয়ে যায় ৷ এরপর ডাক বিভাগের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয় ৷ কিন্তু সেখানেও ডাক বিভাগের আবেদনে মান্যতা দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত ৷

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারপতিদের আদালতের নিয়ম মেনে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানিয়েছে, একবার যখন কোনও পরীক্ষার্থীর নাম মেরিট লিস্টের অন্তর্ভূক্ত হয়, তখন ন্যায্য সুযোগ পাওয়া তাঁর অধিকার ৷ এক্ষেত্রে বিভেদমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া কাম্য নয় ৷ এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারীর মতো কোনও চাকরিপ্রার্থীকে কোনও কারণ ছাড়াই বাদ দেওয়া যায় না ৷ আদালত এও মনে করে, যদি অযোগ্য হতো তাহলে ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই বাদ দিয়ে দেওয়া যেত, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো ৷

1996 সালের 15 মার্চ প্রাথমিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার পর ওই ব্যক্তিকে যে প্রি-ইনডাকশন ট্রেনিংয়েও অন্তর্ভূক্ত করা হয় তাও মনে করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এতকিছুর পর ওই ব্যক্তির চাকরি পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলেই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ৷ ডাক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই ব্যক্তিকে প্রাথমিক ভাবে প্রোবেশন পিরিয়ডে পোস্টাল অ্যাসিস্টেন্ট পদে নিয়োগ করতে হবে, একমাসের মধ্যে ৷ যদি সেই পদ ফাঁকা না থাকে তবে অন্য পদ তৈরি করে তাঁকে নিয়োগ করতে হবে ৷ তবে ওই ব্যক্তি যেহেতু কাজ করেননি, তাই তিনি এত বছরের বেতন ও সিনিয়রিটি সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাও পাবেন না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷

আরও পড়ুন: স্ত্রী স্নাতক বলে চাকরি করতে বাধ্য করা যাবে না, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.