সুরাত, 18 অগস্ট: নাবালিকাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের মামলায় দোষী সাব্যস্তকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সুরাতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ৷ সেই সঙ্গে 5 হাজার টাকা জরিমানা এবং নির্যাতিতাকে 45 হাজার টাকা সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ 2022 সালের 8 অক্টোবর কিশোরীকে অপহরণ করে, তাঁকে 6 দিন লাগাতার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনায় দোষী আবদুল মাধিকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শকুন্তলা সোলাঙ্কি ৷
এই ঘটনায় কিশোরীর আইনজীবী জানিয়েছেন, সচিন থানা এলাকার এক শ্রমজীবী পরিবারের 17 বছরের কিশোরী জামাকাপড় ধোয়ার কাজ করত ৷ সে রোজ আবদুল মাধির ই-রিক্সায় করে কাজে যেত ৷ 2022 সালের 8 অক্টোবর কিশোরী কাজে যাওয়ার জন্য আবদুলের ই-রিক্সায় ওঠে ৷ অভিযোগ আবদুল তার ই-রিক্সা সচিন এলাকার মোল্লা ডাইং মিলের কাছে দাঁড় করিয়ে দেন ৷ এর পর সেখান থেকে ওই কিশোরীকে জোর করে আমেদাবাদে নিয়ে যায় ৷ সেখান থেকে কিশোরীকে নিয়ে আজমেরগামী একটি বিলাসবহুল বাসে ওঠে অভিযুক্ত আবদুল মাধি ৷
পুলিশকে পরবর্তী সময়ে নির্যাতাতি নাবালিকা জানিয়েছিল, বাসের মধ্যেই তার উপর যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত আবদুল ৷ এর আজমেরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাকে নিয়ে যায় ৷ অভিযোগ, সেখানে 6 দিন কিশোরীকে আটকে রাখে আবদুল ৷ শুধু তাই নয়, রোজ তার উপর যৌন নির্যাতন চালাত আবদুল ৷ এরই মধ্যে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার তাঁদের মেয়ের অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে সচিন থানায় অভিযোগ দায়ের করে ৷ পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাবালিকাকে উদ্ধার করে এবং আবদুল মাধিকে গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন: আট বছর ধরে নাবালিকাকে লাগাতার যৌন নিগ্রহ, 97 বছরের কারাদণ্ড মামার
এই মামলায় 25 দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করেছিল পুলিশ ৷ সুরাতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত আবদুল মাধিকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ৷ আজ তাকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং 5 হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ সেই সঙ্গে নির্যাতিতা নাবালিকাকে 45 হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক শকুন্তলা সোলাঙ্কি ৷