রতলাম (মধ্যপ্রদেশ), 22 জানুয়ারি: মধ্যপ্রদেশ রতলামে তিনটি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ রবিবার রতলামের বিন্দবাসিনী আম্রপালি কলোনির একটি বাড়ির পিছন থেকে এক মহিলা এবং তাঁর 2 সন্তানের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ অভিযোগ 2 মাস আগে মহিলার স্বামী সোনু তালওয়াড়ে ওই তিনজনকে খুন করে বাড়ির পিছনে পুঁতে দিয়েছিলেন (Man Kills Wife and Two Kids in Ratlam) ৷ মৃত মহিলা অভিযুক্তের দ্বিতীয় স্ত্রী ৷ পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে খুন করেছেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশীদের প্রথম এ বিষয়ে সন্দেহ হয় ৷ গত 2 মাস ধরে তাঁদের দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে রেলকর্মী সোনু তালওয়াড়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে সোনু স্বীকার করেছেন, তিনিই স্ত্রী এবং 2 সন্তানকে খুন করে বাড়ির পিছনে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন ৷ এমনকী স্ত্রী এবং সন্তানদের খুনের পর তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে প্রতিবেশীরা ৷
অভিযুক্ত সোনু তালওয়াড়ে ভারতী রেলে গ্যাংম্যানের কাজ করেন ৷ পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, খুনের পর দেহ লোপাট করতে তাঁর এক বন্ধু সাহায্য করেছেন ৷ ওই বন্ধুকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে সোনুর স্বীকারক্তি অনুযায়ী ৷ এই ঘটনায় রতলামের পুলিশ সুপার অভিষেক তিওয়ারির তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: রেণুকার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ক্যানেল থেকে, অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি পরিবারের
পুলিশ সুপার অভিষেক তিওয়ারি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সোনু তালওয়াড়ের বয়স 33-34 বছরের মধ্যে ৷ স্বামী-স্ত্রীর মধ্য গত 4-5 মাস ধরে অশান্তি চলছিল ৷ যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে ৷ সোনু পুলিশকে জানিয়েছেন, অশান্তি চরমে ওঠায় রাগের বসে তিনি স্ত্রী এবং 2 সন্তানকে খুন করেছেন ৷ অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম স্ত্রীর খোরপোস মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ৷ আর সেই সমস্যা থেকে বেরনোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না ৷ ফলে পারিবারিক অশান্তি চরমে ওঠে ৷ আর তার জেরেই নাকি তিনি স্ত্রী এবং 2 সন্তানকে খুন করেছেন ৷