ETV Bharat / bharat

Man Killed His Son: তৃতীয় স্ত্রীর প্ররোচনায় প্রথমপক্ষের ছেলেকে খুনে অভিযুক্ত বাবা

তৃতীয় স্ত্রীর প্ররোচনায় প্রথমপক্ষের ছেলেকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে ৷ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তের তৃতীয় স্ত্রীকেও ৷

Man Killed His Son
Man Killed His Son
author img

By

Published : May 17, 2023, 4:28 PM IST

ইন্দোর (মধ্যপ্রদেশ), 17 মে: সাত বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের তেজাজি নগর থানা এলাকায় ৷ পুলিশ শিবপাল মুন্ডে নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷ অভিযুক্তের দাবি, তৃতীয় স্ত্রীর প্ররোচনাতেই তিনি প্রথমপক্ষের ছেলেকে খুন করেছেন ৷

তবে এই ঘটনায় একটি ভিডিয়ো হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের ৷ যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক৷ ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে যে শিবপাল তাঁর ছেলে প্রতীককে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করছেন ৷ তখন ছেলেটি চিৎকার করছে ৷ বারবার বলছে, ‘‘বাবা আমাকে মেরো না ৷’’ কিন্তু ছেলের কোনও কথাই সেই শিবপালের কানে যাচ্ছে না ৷ বরং তাঁকে আরও জোরে ছেলের গলা টিপতে দেখা যাচ্ছে ৷ যদিও ওই ভিডিয়োতে শিবপালকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি তোকে মারতে চাই না, কিন্তু বাধ্য হয়েই তোকে মেরে ফেলছি ।’’

এই ঘটনার পর পালিয়ে যান শিবপাল ৷ পরে তাঁকে মধ্যপ্রদেশের মুতাক্কা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না শিবপালের বর্তমান স্ত্রী পায়েল ৷ তিনি ছিলেন বাপেরবাড়িতে৷ পায়েলকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে আসা হয় ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ পায়েলের দাবি, তিনি প্রতীককে খুন করার কোনও প্ররোচনা দেননি ৷ তবে পায়েলকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, 2019 সালে পায়েলকে বিয়ে করেন শিবপাল ৷ এর আগে তাঁর দু’টো বিয়ে ছিল ৷ প্রথমপক্ষের স্ত্রীর ছেলে প্রতীক ৷ প্রতীকের জন্মের পর অসুস্থতার কারণে মারা যান শিবপালের প্রথমপক্ষের স্ত্রী ৷ তার পর বিয়ে করেন শিবপাল ৷ তবে সেই বিয়ে দিন পনেরোর বেশি টেকেনি ৷ সেই ভেঙে যাওয়ার পর 2019 সালে পায়েলকে বিয়ে করেন তিনি ৷

মাস তিনেক আগে শিবপাল ও পায়েলের এক সন্তান হয় ৷ তার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতীককে নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় ৷ অভিযোগ, প্রতীক বাড়িতে থাকলে শিবপালের সঙ্গে ঘর করবেন না বলে পায়েল হুমকি দিয়েছিলেন ৷ তাছাড়া মাতৃ দিবসে পায়েল ও প্রতীকের একটি ছবি নিয়ে শিবপাল ও পায়েলের মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ কারণ, পায়েল প্রতীককে নিজের সন্তান হিসেবে মানতেই চাইতেন না ৷ সেই কারণেই শিবপাল নিজে হাতেই নিজের সাত বছরের ছেলেকে হত্যা করেছেন ৷

এখন প্রশ্ন, প্রতীক মারা যাওয়ার আগে চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পেলেন না কেন ? পুলিশ জানতে পেরেছে, কুলারের ঠান্ডা হাওয়ায় ছেলেক ঘুম পাড়ানোর জন্য ডাকেন শিবপাল ৷ তার পর ঘরে জোর শব্দে টিভি চালিয়ে নেন ৷ তার জেরে প্রতীক বাঁচার জন্য চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি ৷ পুলিশের দাবি, পুরো ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত ৷ কারণ, প্রতীক তার মামার বাড়িতে থাকত ৷ খুন করার জন্য তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন শিবপাল ৷

আরও পড়ুন: 18 ছাত্রীকে যৌন হেনস্থায় গ্রেফতার শিক্ষক ! ভয়ে স্কুলেই যাচ্ছে না পড়ুয়ারা

ইন্দোর (মধ্যপ্রদেশ), 17 মে: সাত বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের তেজাজি নগর থানা এলাকায় ৷ পুলিশ শিবপাল মুন্ডে নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷ অভিযুক্তের দাবি, তৃতীয় স্ত্রীর প্ররোচনাতেই তিনি প্রথমপক্ষের ছেলেকে খুন করেছেন ৷

তবে এই ঘটনায় একটি ভিডিয়ো হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের ৷ যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক৷ ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে যে শিবপাল তাঁর ছেলে প্রতীককে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করছেন ৷ তখন ছেলেটি চিৎকার করছে ৷ বারবার বলছে, ‘‘বাবা আমাকে মেরো না ৷’’ কিন্তু ছেলের কোনও কথাই সেই শিবপালের কানে যাচ্ছে না ৷ বরং তাঁকে আরও জোরে ছেলের গলা টিপতে দেখা যাচ্ছে ৷ যদিও ওই ভিডিয়োতে শিবপালকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি তোকে মারতে চাই না, কিন্তু বাধ্য হয়েই তোকে মেরে ফেলছি ।’’

এই ঘটনার পর পালিয়ে যান শিবপাল ৷ পরে তাঁকে মধ্যপ্রদেশের মুতাক্কা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না শিবপালের বর্তমান স্ত্রী পায়েল ৷ তিনি ছিলেন বাপেরবাড়িতে৷ পায়েলকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে আসা হয় ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ পায়েলের দাবি, তিনি প্রতীককে খুন করার কোনও প্ররোচনা দেননি ৷ তবে পায়েলকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, 2019 সালে পায়েলকে বিয়ে করেন শিবপাল ৷ এর আগে তাঁর দু’টো বিয়ে ছিল ৷ প্রথমপক্ষের স্ত্রীর ছেলে প্রতীক ৷ প্রতীকের জন্মের পর অসুস্থতার কারণে মারা যান শিবপালের প্রথমপক্ষের স্ত্রী ৷ তার পর বিয়ে করেন শিবপাল ৷ তবে সেই বিয়ে দিন পনেরোর বেশি টেকেনি ৷ সেই ভেঙে যাওয়ার পর 2019 সালে পায়েলকে বিয়ে করেন তিনি ৷

মাস তিনেক আগে শিবপাল ও পায়েলের এক সন্তান হয় ৷ তার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতীককে নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় ৷ অভিযোগ, প্রতীক বাড়িতে থাকলে শিবপালের সঙ্গে ঘর করবেন না বলে পায়েল হুমকি দিয়েছিলেন ৷ তাছাড়া মাতৃ দিবসে পায়েল ও প্রতীকের একটি ছবি নিয়ে শিবপাল ও পায়েলের মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ কারণ, পায়েল প্রতীককে নিজের সন্তান হিসেবে মানতেই চাইতেন না ৷ সেই কারণেই শিবপাল নিজে হাতেই নিজের সাত বছরের ছেলেকে হত্যা করেছেন ৷

এখন প্রশ্ন, প্রতীক মারা যাওয়ার আগে চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পেলেন না কেন ? পুলিশ জানতে পেরেছে, কুলারের ঠান্ডা হাওয়ায় ছেলেক ঘুম পাড়ানোর জন্য ডাকেন শিবপাল ৷ তার পর ঘরে জোর শব্দে টিভি চালিয়ে নেন ৷ তার জেরে প্রতীক বাঁচার জন্য চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি ৷ পুলিশের দাবি, পুরো ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত ৷ কারণ, প্রতীক তার মামার বাড়িতে থাকত ৷ খুন করার জন্য তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন শিবপাল ৷

আরও পড়ুন: 18 ছাত্রীকে যৌন হেনস্থায় গ্রেফতার শিক্ষক ! ভয়ে স্কুলেই যাচ্ছে না পড়ুয়ারা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.