ETV Bharat / bharat

Roti Bank in Maharashtra: গরিবের খিদে মেটাতে ‘রুটি ব্যাংক’ চালান ঔরঙ্গাবাদের ইউসুফ মাকাতি - সমাজসেবা

Man Satisfies Hunger Pangs of Poor with Roti Bank: 9 বছর ধরে মানুষের খিদে মেটাচ্ছেন ঔরঙ্গাবাদের ইউসুফ মাকাতি ৷ তাঁর ‘রুটি ব্যাংক’-এর সাহায্যে ৷ সেখানে রোজ প্রচুর পরিমাণ খাবার জমা হয় ৷ যা তিনি গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করেন ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 29, 2023, 6:56 PM IST

ঔরঙ্গাবাদ, 29 অক্টোবর: ‘‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়, পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি...৷’’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা কবিতার এই দু’টি লাইন দারিদ্র এবং ক্ষুধাকে তুলে ধরেছিল বিংশ শতকে ৷ কিন্তু, বাস্তবেও খিদের কষ্ট কী ? তা একজন দরিদ্রের থেকে বেশি কেউ জানেন না ৷ খিদেয় অতিষ্ট সেই সকল মানুষগুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, ইউসুফ মাকাতি ৷ মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সাম্ভাজিনগরের বাসিন্দা ইউসুফ দরিদ্র মানুষের খিদে মেটাতে ‘রুটি ব্যাংক’ তৈরি করেছেন ৷ এই জেলার জিনসি এলাকার গঞ্জ শাহিদান মসজিদের কাছে গত 9 বছর ধরে তিনি এই ‘রুটি ব্যাংক’ চালাচ্ছেন ৷

এখানে তিনি খাবার তৈরি করেন না ৷ হ্যাঁ, এই ব্যাংকে খাবার জমা হয় ৷ গত 9 বছর ধরে তিনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং বাড়ি বাড়ি থেকে অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন ৷ সেই অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে রাস্তার ধারে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষগুলির মুখে তুলে দেন ইউসুফ মাকাতি ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাকে গরিব মানুষের জন্য খাবার তৈরি করতে হয় না ৷ শহরে প্রতিদিন একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে ৷ সেখানে অতিরিক্ত খাবারগুলি আমি সংগ্রহ করি ৷ এমনকী বহু বাড়ি থেকেও খাবার আসে ৷ আমার ‘রুটি ব্যাংকে’ সেই খাবার মজুত হয় ৷ সেখান থেকেই গরিব মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয় ৷’’

আরও পড়ুন: মনখারাপের উঠানে এক চিলতে রোদ, বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের পাশে 'আপনজন'

ছত্রপতি সম্ভাজিনগরে মোট চারটি রুটি ব্যাংক রয়েছে ৷ সেখান থেকে 365 দিন গরিব মানুষকে খাবার দেওয়া হয় ৷ মূলত, শহরের বস্তি এলাকা এবং হাসপাতালগুলিতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় ‘রুটি ব্যাংক’-এর তরফে ৷ আর বিয়ের মরশুমে ‘রুটি ব্যাংকে’ সবচেয়ে বেশি খাবার এসে জমা হয় ৷ সেই খাবারগুলিকে শুধু সংগ্রহ করা হয়, তা নয় ৷ খাবারগুলি যাতে নষ্ট না-হয়ে যায়, তার জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে ৷ এর পর ধীরে ধীরে সেই সমস্ত খাবার গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় ৷

আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত 100 দম্পতির পাশে অর্জুন

তবে, এই 9 বছরের যাত্রাপথ সহজ ছিল না ইউসুফ মাকাতির জন্য ৷ তাঁকে এর জন্য প্রচুর বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে ৷ অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছিল তাঁর সামনে ৷ কিন্তু, এমন কোনওদিন আসেনি, যেদিন ‘রুটি ব্যাংকে’ খাবার জমা হয়নি ৷ তিনি বিশ্বাস করেন, গরিবের মুখে অন্য তুলে দেওয়ার মতো পূণ্যের কাজে ঈশ্বরই তাঁর সহায় হয়েছেন ৷ ইউসুফ মাকাতির এই ‘রুটি ব্যাংক’ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছে ৷ তাঁর স্বপ্ন দেশের প্রতিটি শহরে এই ‘রুটি ব্যাংক’ তৈরি করা ৷

ঔরঙ্গাবাদ, 29 অক্টোবর: ‘‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়, পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি...৷’’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা কবিতার এই দু’টি লাইন দারিদ্র এবং ক্ষুধাকে তুলে ধরেছিল বিংশ শতকে ৷ কিন্তু, বাস্তবেও খিদের কষ্ট কী ? তা একজন দরিদ্রের থেকে বেশি কেউ জানেন না ৷ খিদেয় অতিষ্ট সেই সকল মানুষগুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, ইউসুফ মাকাতি ৷ মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সাম্ভাজিনগরের বাসিন্দা ইউসুফ দরিদ্র মানুষের খিদে মেটাতে ‘রুটি ব্যাংক’ তৈরি করেছেন ৷ এই জেলার জিনসি এলাকার গঞ্জ শাহিদান মসজিদের কাছে গত 9 বছর ধরে তিনি এই ‘রুটি ব্যাংক’ চালাচ্ছেন ৷

এখানে তিনি খাবার তৈরি করেন না ৷ হ্যাঁ, এই ব্যাংকে খাবার জমা হয় ৷ গত 9 বছর ধরে তিনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং বাড়ি বাড়ি থেকে অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন ৷ সেই অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে রাস্তার ধারে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষগুলির মুখে তুলে দেন ইউসুফ মাকাতি ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাকে গরিব মানুষের জন্য খাবার তৈরি করতে হয় না ৷ শহরে প্রতিদিন একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে ৷ সেখানে অতিরিক্ত খাবারগুলি আমি সংগ্রহ করি ৷ এমনকী বহু বাড়ি থেকেও খাবার আসে ৷ আমার ‘রুটি ব্যাংকে’ সেই খাবার মজুত হয় ৷ সেখান থেকেই গরিব মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয় ৷’’

আরও পড়ুন: মনখারাপের উঠানে এক চিলতে রোদ, বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের পাশে 'আপনজন'

ছত্রপতি সম্ভাজিনগরে মোট চারটি রুটি ব্যাংক রয়েছে ৷ সেখান থেকে 365 দিন গরিব মানুষকে খাবার দেওয়া হয় ৷ মূলত, শহরের বস্তি এলাকা এবং হাসপাতালগুলিতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় ‘রুটি ব্যাংক’-এর তরফে ৷ আর বিয়ের মরশুমে ‘রুটি ব্যাংকে’ সবচেয়ে বেশি খাবার এসে জমা হয় ৷ সেই খাবারগুলিকে শুধু সংগ্রহ করা হয়, তা নয় ৷ খাবারগুলি যাতে নষ্ট না-হয়ে যায়, তার জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে ৷ এর পর ধীরে ধীরে সেই সমস্ত খাবার গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় ৷

আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত 100 দম্পতির পাশে অর্জুন

তবে, এই 9 বছরের যাত্রাপথ সহজ ছিল না ইউসুফ মাকাতির জন্য ৷ তাঁকে এর জন্য প্রচুর বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে ৷ অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছিল তাঁর সামনে ৷ কিন্তু, এমন কোনওদিন আসেনি, যেদিন ‘রুটি ব্যাংকে’ খাবার জমা হয়নি ৷ তিনি বিশ্বাস করেন, গরিবের মুখে অন্য তুলে দেওয়ার মতো পূণ্যের কাজে ঈশ্বরই তাঁর সহায় হয়েছেন ৷ ইউসুফ মাকাতির এই ‘রুটি ব্যাংক’ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছে ৷ তাঁর স্বপ্ন দেশের প্রতিটি শহরে এই ‘রুটি ব্যাংক’ তৈরি করা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.