বেলগাভি (কর্ণাটক), 3 জানুয়ারি: অঙ্গনওয়াড়িতে পড়তে এসে পাশের বাড়ির বাগান থেকে জুঁই ফুল ছিঁড়েছিল শিশুরা ৷ সেটাই ছিল তাদের অপরাধ ৷ সেই অপরাধের শাস্তিস্বরূপ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর নাক কেটে নিল ওই বাড়ির মালিক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলগাভি জেলার বসুরথ গ্রামে ৷ আজ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ৷ আহত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর নাম সুগন্ধা মোর ৷ বয়স 50 বছর ৷ সোমবার গুরুতর আহত অবস্থায় বেলাগাভি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে । তিনি বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ তবে অবস্থা আশংকাজনক ৷
অন্যদিকে অভিযুক্ত বাড়ির মালিকের নাম কল্যাণী মোর বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুরা প্রত্যেকদিনের মতো নববর্ষেও পড়তে এসেছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৷ অবুঝ শিশুরা বুঝতে পারেনি ৷ পড়ার মাঝেই খেলার ছলে পাশের বাড়ির সামনে ফুটে থাকা ফুল ছিঁড়ে ফেলেছিল পড়ুয়ারা ৷ সেটা ভালো চোখে দেখেনি ওই বাড়ির মালিক ৷ এরপরেই বাড়ির মালিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে মৌখিকভাবে গালিগালাজ করেন এবং পরে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ । যার ফলে ওই কর্মীর নাক কেটে যায় এবং গুরুতর আহন হন তিনি ।
জানা গিয়েছে, নাক কাটার কারণে ফুসফুসে রক্তক্ষরণ হওয়ায় মহিলার অবস্থা আশংকাজনক হয়ে পড়ে । সুগন্ধা নিম্নমধ্যবিত্ত বাড়ির বধূ ৷ তাঁর স্বামী বিশেষভাবে সক্ষম ৷ অঙ্গনওয়াড়িতে কাজ করেই তিনি পরিবারের দেখভাল করেন । পরিবারে রোজগার বলতে তাঁর উপর সবাই নির্ভরশীল ৷ এই পরিস্থিতি প্রাণঘাতী হামলার শিকার হলেন তিনি ৷ কাকতি থানায় এই ঘটনার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: