বিজয়নগর (কর্নাটক), 22 জুলাই: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান প্রেমিকার বাবার । ক্ষোভে প্রেমিকার ধড় থেকে মুণ্ডু আলাদা করল প্রেমিক ৷ এতেই ক্ষান্ত হয়নি সে, সেই কাটা মুণ্ডু নিয়ে স্থানীয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করেছে ওই প্রেমিক ৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কুদলিগি তালুকের বিজয়নগর জেলার কান্নাবোরান্যায়ানা হাত্তিতে ৷ অভিযুক্ত ভোজরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Man carries severed head to Police Station after beheading a woman in Karnataka) ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু'বছর ধরে ভোজরাজ এবং নির্মলার (23) মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ ভোজরাজ প্রেমিকা নির্মলার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে বিয়ের প্রস্তাব দেন ৷ কিন্তু প্রেমিকার বাবা-মা তা নাকচ করে দেন ৷ ফলশ্রুতিতে ভোজরাজ যে মুষড়ে পড়েছিল তাও নয় । দু'মাস আগে সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন ৷ স্বাভাবিকভাবেই এদিনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায় ।
জানা গিয়েছে, নার্সিংয়ের ছাত্রী ছিলেন নির্মলা ৷ দিনতিনেক আগে তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গ্রামে ফেরেন ৷ খবর পেয়ে হঠাৎই ভোজরাজ প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে ঢুকে তাঁর মাথা কেটে নৃশংসভাবে খুন করে ৷ পরে নির্মলার কাটা মুণ্ডু নিয়ে বাইকে করে কানাহোশাহাল্লি থানায় (Kanahoshahalli police station) যায় এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে ৷ স্বভাবতই এমন ঘটনায় অবাক এবং একইসঙ্গে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ৷ কানাহোশাহাল্লি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ভোজরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: মালদায় স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর
তিন বছর আগে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ 24 পরগনার পাথরপ্রতিমায় ৷ 27মে সকাল 6টা নাগাদ অভিজিত দাস নামের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী অম্বা দাসের মাথা কেটে পাথরপ্রতিমা পুলিশ স্টেশনে পৌঁছয় ৷ থানার আইসিকে সে শান্ত ভাবে জানায়, সে স্ত্রীকে খুন করেছে এবং ধরা দিতে চায় ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ ভেবেছিল অভিজিতের কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে ৷ পরে সে যখন একটি ব্যাগ থেকে বৌয়ের রক্তাক্ত মুণ্ডু বের করে দেখায়, তখন হকচকিয়ে যায় পুলিশ ৷