হায়দরাবাদ, 16 ডিসেম্বর: চুরি করতে ধরা পড়ে প্রাণ বাঁচাতে জলাশয়ে আশ্রয় নিল চোর ৷ তাতেই অবশ্য চোর বাবাজি বেঁচে গিয়েছেন সেকথা বলা যায় না ৷ শনিবার হায়দরাবাদের শিবালয়নগর এলাকার ঘটনা ৷ ডাঙায় যখন উত্তেজিত জনতা চোরকে ধরার জন্য় অপেক্ষা করছে ৷ তখন জলাশয় থেকে ডাঙায় আসার শর্ত দিল চোর ৷ শর্ত হল, সেখানে তেলেঙ্গানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেভন্থ রেড্ডি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এলে তবে ডাঙায় আসবে সে ৷ পুলিশের কথাতেও জল থেকে ডাঙায় আসেনি চোর ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার, 15 ডিসেম্বর সুরারাম থানা সীমানার অর্ন্তগত স্থানীয় শিবালয়নগর এলাকার বাসিন্দা নান্দু এবং তার স্ত্রী নাগলক্ষ্মী ৷ ঘরে তালা দিয়ে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি ৷ বিকেল সাড়ে 4টার সময় তাঁদের মেয়ে সৃজ্যোতি বাড়ি ফিরে দেখে ঘরের দরজা খোলা ৷ সন্দেহ হওয়ায় সৃজ্যোতি ভিতরে ঘরে ঢুকে পড়েন ৷ দেখেন শোওয়ার ঘরে সমস্ত জিনিসপত্র লন্ডভন্ড ৷ আলমারির জিনিসপত্র ছড়িয় আছে সর্বত্র ৷ তার মধ্যে একজন লোক বসে টাকা গুনছে । এরপরই এই কিশোরী চিৎকার শুরু করে ৷
চিৎকার শুনে ধরা পড়ে যাওয়ার ঘরে থেকে দৌড় দেয় সে ৷ কিছুদুর যাওয়ার আগেই এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে যায় ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের হাত থেকে কোনওরকমে নিজেকে বাঁচিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয় ৷ সেখানে একটি পাথরের উপর উঠে বসে থাকে ৷ চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই ভেঙ্কটেশ ও পুলিশ বাহিনী । এসআই নারায়ণ সিংও ঘটনাস্থলে পৌঁছে চোরকে উঠে আসতে বললেও কোনও কাজ হয়নি ৷ তারপরই চোরটি শর্ত দেয়, সংবাদ মাধ্যম, তেলেঙ্গানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেভন্থ রেড্ডি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এলে তবেই উঠে আসবে সে ৷ 20 হাজার টাকা চোরের পকেট থেকে কীভাবে উদ্ধার করবেন তা ভেবেই মাথায় হাত গৃহকর্তার ৷
আরও পড়ুন: