অযোধ্যা, 9 অগস্ট: দিদিকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হল এক কিশোর ৷ ভাইকে বাঁচাতে 8 কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছলেন তরুণী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার গোসাইগঞ্জ থানা এলাকায় ৷ ঘটনায় অভিযোগের তির কিশোরের বাবার বিরুদ্ধে ৷ মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি ছেলেকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷
অভিযোগ, সোমবার রাতে নিজের বড় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি ৷ সেই সময় তাঁর ছেলে বাধা দিলে, লাইসেন্সহীন আগ্নয়াস্ত্র দিয়ে কিশোরকে গুলি করেন অভিযুক্ত ৷ গুরুতর অবস্থায় ওই কিশোর লখনউ মেডিক্যাল কলেজের ট্রমা কেয়ারে ভরতি রয়েছে ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার পর থেকে পলাতক ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
অযোধ্যা গ্রামীণের পুলিশ সুপার অতুল সোনকার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি গোসাইগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা ৷ পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তির স্ত্রী বহুদিন আগে মারা গিয়েছেন ৷ বাড়িতে তাঁর দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে ৷ অভিযোগ, গত সোমবার রাতে ওই ব্যক্তি তাঁর বড় মেয়েকে ঘুমের মধ্যে ধর্ষণ করতে যান ৷ সেই সময় তাঁর মেয়ে চিৎকার করেন এবং তাঁর বাবাকে বাধা দেন ৷ দিদির চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় কিশোরের ৷ বিষয়টি জানতে পেরে ওই কিশোর তার বাবাকে বাধা দেয় ৷ এর পরেই দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয় ৷
পুলিশকে দেওয়া তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, তর্কাতর্কির মাঝে হঠাৎ তাঁর বাবা একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করেন ৷ যার লাইসেন্স তাঁর কাছে নেই ৷ সেটি দিয়ে ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালান অভিযুক্ত ব্যক্তি ৷ গুলি কিশোরের থুতনিতে লাগে ৷ এর পরেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ৷ এই অবস্থায় ভাইয়ের থুতনিতে গামছা বেঁধে 8 কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে স্থানীয় মায়া বাজার এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছন তরুণী ৷ কিন্তু, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাকে দর্শননগর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ কিন্তু, সেখান থেকেও চিকিৎসকরা গুলিবিদ্ধ কিশোরকে লখনউ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন ৷
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাবা, 35 বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত
এই মুহূর্তে ওই কিশোর লখনউ মেডিক্যাল কলেজের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি রয়েছে ৷ তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ অন্যদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ তিনি ওই অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রই বা কোথা থেকে পেলেন ? তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷