পালঘর, 12 সেপ্টেম্বর: ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার না করায় লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের অভিযোগ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় ৷ যুবতীর দেহের খোঁজ করছে পুলিশ ৷
সূত্রের খবর, 9 থেকে 12 অগস্টের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ এই সময়ের মধ্যে 43 বছর বয়সি ওই ব্যক্তি তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ৷ তবে এখনও 28 বছর বয়সি যুবতীর দেহ পাওয়া যায়নি ৷ ভাসাইয়ের সহকারী পুলিশ কমিশনার পদ্মজা বাদে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেয়েটির দেহের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, যুবতীর পরিবার 14 অগস্ট নাইগাঁও থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে ৷ এই ঘটনারই তদন্তে নেমেই পুলিশের কাছে খুনের তথ্য উঠে আসে ৷ নাইগাঁও থানার একজন আধিকারিক জানান, তাঁরা সন্দেহ করছেন অভিযুক্ত গুজরাতের পার্শ্ববর্তী ভাপি শহরে যুবতীর দেহ ফেলে এসেছে । প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে যে যুবতী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ৷ যার ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ মামলা করায় ওই ব্যক্তি যুবতীর উপর রেগে ছিলেন ৷ এমনকী তিনি নির্যাতিতাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিতেও বলেন ৷ আর তা না করায় এই হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের অনুমান ৷
আরও পড়ুন: ভিলওয়ারায় মহিলাকে অপহরণ করে ‘গণধর্ষণ’; গ্রেফতার 3 অভিযুক্ত
পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাপ দেন ওই ব্যক্তি ৷ তিনি তা করতে অস্বীকার করেন ৷ এর জেরেই লোকটি তাঁকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ৷ এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "যুবতীর বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে নাইগাঁও পুলিশ সোমবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 302 (হত্যা) এবং 201 (প্রমাণ লোপাট করা)-এর অধীনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মীরা ভাইন্দর-ভাসাই ভিরার পুলিশ সীমানার অন্য একটি থানাও অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ সেখানে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷" (সংবাদ সংস্থা-পিটিআই)