কলকাতা, 3 জুন: বালাসরে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা 200-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে । পাশাপাশি আহতের সংখ্যা প্রায় 1000 ছুঁইছুঁই । শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে দুর্ঘটনাস্থলে শনিবার যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মমতার নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এবং তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দোলা সেন ৷ ঘটনার পরই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে টুইট করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতবাক। সম্ভবত আজ তিনি আসবেন ঘটনাস্থলে। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে আসছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দুই রাজ্য সরকার মিলে যৌথভাবে উদ্ধার কাজে সহযোগিতায় জন্য হাত লাগিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ডাক্তারদের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স-সহ একাধিক অ্যাম্বুলেন্স। আমাদের সরকারি আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলের উদ্ধারকাজ থেকে শুরু করে কীভাবে আহতদের সাহায্য দেওয়া যায় তাতে ব্যস্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ট্রেন বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 233, ওড়িশায় রাষ্ট্রীয় শোক
তিনি এও বলেছেন, শালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরুগামী হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এবং একটি মাল গাড়ি, এই তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ভয়াবহ। যেহেতু দু'টি ট্রেনেই প্রচুর রাজ্যের মানুষ যাত্রা করেন তাই এখানে প্রচুর বাংলার মানুষের আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মর্মাহত। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সব ধরনের সাহায্য করছে। ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে যাত্রীদের পরিবারের পাশে থাকারও বার্তা দিচ্ছে রাজ্য। প্রসঙ্গত, গতকাল ট্রেন দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর সবার আগে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার, দোলা সেনের কথামতো শেষ পর্যন্ত যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন সেক্ষেত্রে তিনি কী বার্তা দেন ৷