ETV Bharat / bharat

Mamata Banerjee : দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর লক্ষ্যে দু’মাস অন্তর দিল্লি যাবেন মমতা

শুক্রবার দিল্লি থেকে বাংলায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তাঁর ‘‘ভিজিট সাকসেসফুল ৷...’’ এদিন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মমতার ৷ পাশাপাশি, এই ক’দিনে বিজেপি বিরোধী আরও অনেক দলের নেতা, নেত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি ৷ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে উৎখাত করাই যে তাঁর লক্ষ্য, সে-কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দেন মমতা ৷ দেন দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার বার্তা ৷

Mamata Banerjee sought for save democracy before leaving Delhi
Mamata Banerjee : দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর লক্ষ্যে মাসে দু’বার দিল্লি যাবেন মমতা
author img

By

Published : Jul 30, 2021, 4:48 PM IST

Updated : Jul 31, 2021, 6:20 AM IST

নয়াদিল্লি, 30 জুলাই : গত কয়েক দিনের দিল্লি সফর সেরে ‘নিজ ভূমে’ ফেরার আগে আবারও যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ রাজধানীর মাটিতে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ আর দেশ হল কাজ করার সবথেকে বড় জায়গা ৷’’

ভাষা সংযমী হলেও বার্তা অত্যন্ত তীব্র ৷ মমতা যে জননেত্রী, একথা নতুন করে বলার কিছু নেই ৷ তাঁর দলের মূল মন্ত্র ‘মা-মাটি-মানুষ’ ৷ শুধুমাত্র নেত্রী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করা নয়, মমতার টিআরপি-র আসল রহস্য় মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে মানুষের কথা বলা ৷ যা এতদিন মূলত বাংলার রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকেই করে এসেছেন তিনি ৷ পেয়েছেন চূড়ান্ত সাফল্যও ৷ কিন্তু, দিল্লিতে দাঁড়িয়ে সেই তিনিই যদি বলেন, ‘‘দেশ হল কাজ করার সবথেকে বড় জায়গা’’, তবে তার অর্থ অত্যন্ত গভীর ৷ অর্থাৎ, রাজ্য়ের গণ্ডী পেরিয়ে এবার জাতীয়স্তরেও সফল রাজনীতিক হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ‘বাংলার মেয়ে’ ৷

আরও পড়ুন : Modi-Mamata : উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে মোদির সঙ্গে কি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ মমতার ?

একুশের ভোটের প্রচার পর্বেই মমতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলা জয়ে হ্য়াটট্রিক সেরেই দিল্লিতে মনোনিবেশ করতে চান তিনি ৷ তাঁর সদ্য শেষ হওয়া দিল্লি সফরের মূল উদ্দেশ্যও ছিল মোদি তথা বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একজোট করা ৷ সেই মতো বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনাও সেরে ফেলেছেন মমতা ৷ শুক্রবার দিল্লি ছাড়ার আগে নিজেই জানিয়েছেন সেকথা ৷ এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমার শরদজির (শরদ পাওয়ার) সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ তিনি মুম্বই ফিরে গিয়েছেন ৷ তবে আমরা ফের মিটিং করব ৷’’ এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ছাড়াও মমতার বৈঠক যে আরও অনেকের সঙ্গেই হয়েছে, তাও লুকোননি তিনি ৷ তবে সকলের নাম প্রকাশ্যে আনেননি ৷ কিন্তু তাঁর এবারের দিল্লি সফরে তিনি যে খুশি, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ভিজিট সাকসেসফুল ৷...’’

‘‘আউটকাম ইজ় গুড ৷...’’

কী বললেন মমতা

অর্থাৎ, সলতে পাকানোর কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) অ্য়ান্ড কোম্পানিকে উৎখাত করতে মমতার প্রয়াস নতুন নয় ৷ তবে এর আগে বিরোধীদের এক মঞ্চে আনতে সফল হলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ এবার তাই আরও সতর্ক এবং তৎপর মমতা ৷ তিনি বুঝে গিয়েছেন, বাংলায় বসে দিল্লি জয় অসম্ভব ৷ তাই এবার থেকে ঘন ঘন দিল্লি আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর ৷ বহু কর্মরত গৃহিনীই ঘর সামলে অফিস করেন ৷ এ যেন অনেকটা তেমনই ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রিত্ব তো আছেই, সঙ্গে দিল্লির রাজনীতিতেও এবার ভিত পোক্ত করতে চান মমতা ৷ এবং সেটা করতে চান দিল্লি থেকেই ৷ এদিন তিনি জানান, ‘‘আমি এবার থেকে দু’মাস অন্তর দিল্লি আসব ৷’’

আরও পড়ুন : Mamata-Javed-Shabana : জাভেদকে হিন্দিতে ‘খেলা হবে’ গান লেখার অনুরোধ মমতার

আঞ্চলিক নেত্রী থেকে নিজেকে জাতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ করতে চাইছেন মমতা ৷ তাঁর আচার, আচরণ, কথা-বার্তায় সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট ৷ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র বাংলা নিয়ে কথা বলেননি তিনি ৷ কথা বলেছেন জাতীয় ইস্যু নিয়ে ৷ কৃষক আন্দোলন থেকে জ্বালানীর দামবৃদ্ধি, করোনা থেকে মুম্বইয়ের বৃষ্টি, ছুঁয়ে গিয়েছেন সব কিছু ৷ একই সঙ্গে, বাংলার প্লাবন পরিস্থিতির কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঘর থেকে দূরে থাকলেও ঘরের মানুষদের ভাল-মন্দের প্রতিটা খবরই রাখছেন তিনি ৷ পাশাপাশি, বেকার, কৃষক ও মুম্বইয়ে (মহারাষ্ট্রে) বৃষ্টিতে মৃতদের পাশে থাকার কথা বলে বার্তা দিয়েছেন গোটা দেশের সঙ্গে থাকার ৷ এক কথায়, রাজ্য আর দেশের মধ্যে একটা সূক্ষ ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি ৷ সওয়াল করেছেন ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নের পক্ষে ৷ বলেছেন গণতন্ত্রকে বাঁচানোর কথা ৷ মোদি জমানায় যা তলানিতে এসে ঠেকেছে বলেই দাবি মমতা-সহ বিজেপি বিরোধীদের ৷

নয়াদিল্লি, 30 জুলাই : গত কয়েক দিনের দিল্লি সফর সেরে ‘নিজ ভূমে’ ফেরার আগে আবারও যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ রাজধানীর মাটিতে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ আর দেশ হল কাজ করার সবথেকে বড় জায়গা ৷’’

ভাষা সংযমী হলেও বার্তা অত্যন্ত তীব্র ৷ মমতা যে জননেত্রী, একথা নতুন করে বলার কিছু নেই ৷ তাঁর দলের মূল মন্ত্র ‘মা-মাটি-মানুষ’ ৷ শুধুমাত্র নেত্রী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করা নয়, মমতার টিআরপি-র আসল রহস্য় মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে মানুষের কথা বলা ৷ যা এতদিন মূলত বাংলার রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকেই করে এসেছেন তিনি ৷ পেয়েছেন চূড়ান্ত সাফল্যও ৷ কিন্তু, দিল্লিতে দাঁড়িয়ে সেই তিনিই যদি বলেন, ‘‘দেশ হল কাজ করার সবথেকে বড় জায়গা’’, তবে তার অর্থ অত্যন্ত গভীর ৷ অর্থাৎ, রাজ্য়ের গণ্ডী পেরিয়ে এবার জাতীয়স্তরেও সফল রাজনীতিক হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ‘বাংলার মেয়ে’ ৷

আরও পড়ুন : Modi-Mamata : উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে মোদির সঙ্গে কি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ মমতার ?

একুশের ভোটের প্রচার পর্বেই মমতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলা জয়ে হ্য়াটট্রিক সেরেই দিল্লিতে মনোনিবেশ করতে চান তিনি ৷ তাঁর সদ্য শেষ হওয়া দিল্লি সফরের মূল উদ্দেশ্যও ছিল মোদি তথা বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একজোট করা ৷ সেই মতো বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনাও সেরে ফেলেছেন মমতা ৷ শুক্রবার দিল্লি ছাড়ার আগে নিজেই জানিয়েছেন সেকথা ৷ এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমার শরদজির (শরদ পাওয়ার) সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ তিনি মুম্বই ফিরে গিয়েছেন ৷ তবে আমরা ফের মিটিং করব ৷’’ এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ছাড়াও মমতার বৈঠক যে আরও অনেকের সঙ্গেই হয়েছে, তাও লুকোননি তিনি ৷ তবে সকলের নাম প্রকাশ্যে আনেননি ৷ কিন্তু তাঁর এবারের দিল্লি সফরে তিনি যে খুশি, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ভিজিট সাকসেসফুল ৷...’’

‘‘আউটকাম ইজ় গুড ৷...’’

কী বললেন মমতা

অর্থাৎ, সলতে পাকানোর কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) অ্য়ান্ড কোম্পানিকে উৎখাত করতে মমতার প্রয়াস নতুন নয় ৷ তবে এর আগে বিরোধীদের এক মঞ্চে আনতে সফল হলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ এবার তাই আরও সতর্ক এবং তৎপর মমতা ৷ তিনি বুঝে গিয়েছেন, বাংলায় বসে দিল্লি জয় অসম্ভব ৷ তাই এবার থেকে ঘন ঘন দিল্লি আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর ৷ বহু কর্মরত গৃহিনীই ঘর সামলে অফিস করেন ৷ এ যেন অনেকটা তেমনই ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রিত্ব তো আছেই, সঙ্গে দিল্লির রাজনীতিতেও এবার ভিত পোক্ত করতে চান মমতা ৷ এবং সেটা করতে চান দিল্লি থেকেই ৷ এদিন তিনি জানান, ‘‘আমি এবার থেকে দু’মাস অন্তর দিল্লি আসব ৷’’

আরও পড়ুন : Mamata-Javed-Shabana : জাভেদকে হিন্দিতে ‘খেলা হবে’ গান লেখার অনুরোধ মমতার

আঞ্চলিক নেত্রী থেকে নিজেকে জাতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ করতে চাইছেন মমতা ৷ তাঁর আচার, আচরণ, কথা-বার্তায় সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট ৷ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র বাংলা নিয়ে কথা বলেননি তিনি ৷ কথা বলেছেন জাতীয় ইস্যু নিয়ে ৷ কৃষক আন্দোলন থেকে জ্বালানীর দামবৃদ্ধি, করোনা থেকে মুম্বইয়ের বৃষ্টি, ছুঁয়ে গিয়েছেন সব কিছু ৷ একই সঙ্গে, বাংলার প্লাবন পরিস্থিতির কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঘর থেকে দূরে থাকলেও ঘরের মানুষদের ভাল-মন্দের প্রতিটা খবরই রাখছেন তিনি ৷ পাশাপাশি, বেকার, কৃষক ও মুম্বইয়ে (মহারাষ্ট্রে) বৃষ্টিতে মৃতদের পাশে থাকার কথা বলে বার্তা দিয়েছেন গোটা দেশের সঙ্গে থাকার ৷ এক কথায়, রাজ্য আর দেশের মধ্যে একটা সূক্ষ ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি ৷ সওয়াল করেছেন ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নের পক্ষে ৷ বলেছেন গণতন্ত্রকে বাঁচানোর কথা ৷ মোদি জমানায় যা তলানিতে এসে ঠেকেছে বলেই দাবি মমতা-সহ বিজেপি বিরোধীদের ৷

Last Updated : Jul 31, 2021, 6:20 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.