নয়াদিল্লি, 2 নভেম্বর: নগদের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সংসদের এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ তাঁর বিরুদ্ধে নগদের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কৃষ্ণনগরের সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছে সংসদের এই কমিটি।
প্রথম থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন মহুয়া। তাছাড়া কবে হাজিরা দেবেন তা নিয়েও খানিকটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে পুজো এবং তারপর বিজয়ার নানা অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সাংসদ আরও কয়েকদিন পর হাজিরার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হয়নি কমিটি। শেষমেশ হাজিরার জন্য বৃহস্পতিবার দিনটি ধার্য হয়। সেই মতো আজ হাজিরা দিলেন মহুয়া।
কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার আগে মহুয়া এই কমিটির প্যানেলকে একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানি ও আইনজীবী জয় দেহাদ্রাইকে জেরা করার অনুমতি চেয়েছেন ৷ সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দর্শনের থেকে নগদ এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি সংসদে এমন কিছু প্রশ্ন করেছেন যা আদানি গোষ্ঠির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় যে এনআইসি মেইল ব্যবহার করে সাংসদরা অনলাইনে প্রশ্ন করেন সেটার লগইন আইডি এবং পাসওর্য়াডও নাকি অন্য কাউকে দিয়েছিলেন মহুয়া। এমনই গুরুতর অভিযোগেরই তদন্ত চলছে। সেই ঘটনার তদন্ত করছে এথিক্স কমিটি।
এখানে আরও একজনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জয় দেহাদ্রাই। অতীতে মহুয়ার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল জয়ের। এই আইনজীবীই প্রথম মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁর থেকে বিষয়টি জানতে পেরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লেখেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ৷ সেখান থেকেই গোটা বিষয়টির শুরু।
এই প্রথম নয়, এর আগেও নিশিকান্তের সঙ্গে সম্মুখ সমরে জডিয়েছেন মহুয়া। তৃণমূল সাংসদের দাবি, নির্বাচনে লড়ার জন্য দেওয়া হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন বিজেপি নেতা। এবার এই নগদের বিনিমিয়ে প্রশ্নের অভিযোগে তৃণমূল সাংসদকে কোণঠাসা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি নিশিকান্ত। অভিযোগ প্রসঙ্গে এথিক্স কমিটি শেষমেশ কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন : 47 বার দুবাই থেকে লগ-ইন করা হয়েছিল মহুয়ার অ্যাকাউন্ট, বিস্ফোরক অভিযোগ