পটনা, 25 সেপ্টেম্বর: আবারও অমানবিকতার সাক্ষী দেশ ! এবার নির্যাতনের শিকার দলিত মহিলা ৷ টাকা ধার নিয়ে তা শোধ দিতে না পেরে অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি ৷ অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে মারধর করে এবং তাঁর মুখে প্রসাব করে দেয় বলে অভিযোগ ৷ তবে মুখে প্রসাব করার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। বিহারের পটনার খসরুপুর থানা এলাকার ঘটনা ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত এলাকার এক বাহুবলী। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে নির্যাতিতার দাবি।
মহিলার অভিযোগ, শনিবার রাত 10টা নাগাদ অভিযুক্ত বাহুবলী ও তাঁর সঙ্গীরা ওই মহিলার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ৷ টাকার দাবিতে তাঁর উপর চড়াও হন ৷ তাদের মধ্যে থাকা একজনকে তাঁর মুখে প্রসাব করে দেওয়ার নির্দেশ দেন বাহুবলী ৷ পরে কোনওভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাহুবলী, তাঁর ছেলে -সহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেখানেই উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা তাঁকে বিবস্ত্র রকে রাস্তায় ঘোরানোর হুমকিও দেয় ৷ সমস্ত ঘটনা জানিয়ে খসরুপুর থানা অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান ওই মহিলা ৷
আরও পড়ুন: ধারের টাকা শোধ করতে না পেরে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী
ঘটনা প্রসঙ্গেই নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য জানান, ওই মহিলা এক ব্যক্তির কাছ থেকে 1500 টাকা ধার নিয়েছিলেন । তিনি সুদ ও আসল-সহ পুরো টাকাটাই ফেরত দিয়েছেন ৷ তারপরও তাঁকে নির্যাতনের শিকার হতে হয় ৷ খসরুপুরের এসএইচও সিয়ারাম যাদব বলেন, "নির্যাতিতা ওই মহিলার সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে কোনও অশান্তি হয়েছে বলে আমরা শুনেছি ৷ তবে তিনি নিজে নেননি, অন্য কারোর মাধ্যমে টাকা ধার নিয়েছিলেন ৷ সেই টাকা ফেরতের জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল ৷ ওই মহিলা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তবে মুখে প্রসাব করার কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ সত্যি কী ঘটেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷"