জব্বলপুর, 28 জুলাই: হাইকোর্টে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করায় এক ব্যক্তিকে 110 বছরের সাজা দিল আদালত ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে ৷ সেখানকার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অভিষেক সাক্সেনা পুরুষোত্তম পাসি নামে এক ব্যক্তিকে এই সাজা দিয়েছেন ৷ জব্বলপুরের বিলহারি এলাকার বাসিন্দা পুরুষোত্তম ৷
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ নতুন নয় ৷ মাঝেমধ্যেই এই ধরনের অভিযোগ শোনা যায় ৷ আর এমন অভিযোগে অনেককে বিভিন্ন জায়গায় গ্রেফতারও হতে দেখা যায় ৷ কিন্তু আদালতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ! এমন অভিযোগ সচরাচর শোনা যায় না ৷ কারণ, এসব ক্ষেত্রে মামলায় ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ তার পরও পুরুষোত্তম পাসি আদালতে চাকরি দেওয়ার নামে অন্তত 15 জনের সঙ্গে প্রতারণা করে ৷
সে দাবি করে যে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে একাধিক পদে নিয়োগ করা হবে ৷ সেখানে পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে ৷ এভাবে ওই 15 জনের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় ৷ তার পর তাদের ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেয় ৷ সেই নিয়োগপত্র নিয়ে ওই 15 জন হাইকোর্টে পৌঁছাতেই প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে ৷ জব্বলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করে গ্রেফতার করে পুরুষোত্তমকে ৷ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় সে ৷
আরও পড়ুন: তিন দশক পর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার পলাতক চোর
কিন্তু তাকে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারক অন্যন্য নজির গড়লেন ৷ কারাদণ্ড দিলেন 110 বছরের ৷ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণার মামলায় পুরুষোত্তমের পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে ৷ কিন্তু সে 15 জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল ৷ তাই সাজার মেয়াদ পাঁচের সঙ্গে 15 গুণ করে দাঁড়িয়েছে 75 বছরে ৷ তাছাড়া ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরিতে আদালতের জাল নথি তৈরি ও সিল জাল করার ঘটনায় তাকে 35 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ তাই সব মিলিয়ে তাকে 110 বছর জেলে থাকতে হবে ৷